নির্বাচন পূর্ব অনিয়মের বিষয় নিষ্পত্তি করতে ৩০০ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা নিয়োগ করে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এ সংক্রান্ত একটি চাহিদাপত্র পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়ে। নিয়মানুযায়ী তা সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদনের পর যায় আইন মন্ত্রণালয়ে।
নির্বাচন কমিশনের আদেশক্রমে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) এ প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। শনিবার (২৫ নভেম্বর) গণমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বিধান মতে, বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের দিয়ে দেশের প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় একটি করে মোট ৩০০টি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়।
এতে বলা হয়, কমিটিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, আচরণবিধি ও ভীতি, বাধা, দমন বা মিথ্যা তথ্য প্রকাশসহ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত করে এমন বিষয়গুলো অনুসন্ধানসহ সুপারিশ করে তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত জ্বালানি ও আপ্যায়ন ব্যয়সহ বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে। অনুসন্ধান কার্য পরিচালনার ব্যাপারে কমিটির চাহিদা অনুসারে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা/ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা/ থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ১-৪ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর; প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। আর ভোট হবে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি।