আবু বকর ছিদ্দিক রনি, শার্শা প্রতিনিধিঃ
কুলবাড়ীয়ার মাশরুম চাষ, টিস্যু কালচার ল্যাব ও স্প্যাপন তৈরী (বীজ উৎপাদন) পরিদর্শন করেছেন ফরিদপুর কৃষি ইনিস্টিটিউট (ATI) অতিরিক্ত পরিচালক (অধ্যক্ষ) কৃষিবিদ মঞ্জুরুল হক। ২১শে নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ঝিকরগাছা উপজেলার কুলবাড়ীয়া গ্রামে এ মাশরুম প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে তিনি বর্তমান সরকার মাশরুম চাষে বিভিন্ন ভাবে যে সহায়তা করছেন তা তুলে ধরেন। বাংলাদেশ সরকার NATP প্রকল্পের আওতায় ৫ লাখ ২২ হাজার টাকা ব্যয়ে টিস্যু কালচার ল্যাব, স্পাপন তৈরী জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দিয়েছে এবং আরও সম্পাসারনের জন্য ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার একটা ফান্ড অনুমোদন হয়েছে। সরকারের সহযোগীতা তিনি বিভিন্ন ভাবে পাচ্ছেন এবং ধাপে ধাপে আরও পাবেন। আমাদের সহযোগীতা তিনি সবসময় পাবেন। এতে করে তার নিজের এবং তার প্রকল্পের কর্মরত শ্রমিকরাও অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আনবে। বর্তমান সরকার মাশরুম সেক্টরকে উন্নত যান্ত্রিকায়ন করে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছেন।
তিনি আরও বলেন, সবজীর তুলনায় কয়েকগুন বেশী পুষ্টিকর এই মাশরুম, এখানে আঁশ জাতীয়, আমিষ ও অন্যান্য পুষ্টিগুন অনেক বেশি থাকে। অনেক মাশরুশ আছে ঔষধি গুণাগুন সম্পূর্ণ। এখান থেকে তৈরী স্প্যাপন সরবরাহ, যশোর জেলায় আরও বেশি সস্পাসরণ ও বাজারজাতকরণ জন্য আরও যে উদ্যোগ নেওয়ার দরকার সেগুলো আমারা নেবো।
পরিদর্শনকালে উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা মাসুদ হাসান পলাশ বলেন, আমাদের নতুন প্রকল্প এসেছে মাশরুম উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন এতে তিনি ট্রেনিং প্রাপ্ত হয়েছেন। উপজেলা পরিষদ থেকে তাকে আমরা সেচ লাইসেন্স করে দিয়েছে। তাছাড়া মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি লাগে সেটার ব্যবস্থাও খুবই দ্রুত পেয়ে যাবেন। সর্বপরি ইমাদুল একজন উদ্যোক্তা এবং আমাদের ঝিকরগাছার জন্য গর্ব। তার মাশরুম আরও বেশি কিভাবে মার্কেটিং করা যায় সে প্রচেষ্টা আমাদের অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও ইমাদুলের মাদার মাশরুম খামারে ২০ জন নারী শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং তারা এর মাধ্যমে নিজেদেরকে স্বাবলম্বী হয়েছেন এসময় আরও উপস্থিত ছিলো উপসহকারী কৃষি অফিসার নয়ন পাল ও কামরুজ্জামান।