পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের ছোট নারিচাগাড়ী গ্রাম থেকে হ্যাকার (প্রতারক)চক্রের মুল হোতা আপেল মাহমুদ কে পুলিশ গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, প্রতারক আপেল কে ১৫১ধারা গ্রেফতার দেখিয়ে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি হ্যাকারদের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে বিকাশ, নগদের এ্যাকাউন্ট হ্যাক করে দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষের সরকার থেকে দেয়া অর্থ বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা,প্রতিবন্ধি ভাতা,শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং এ্যাকাউন্ট থেকে লাখ-লাখ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র জ্বীনের বাদশা হ্যাকার।
এসব জ্বীনের বাদশা হ্যাকার কোন সময় বিকাশ ও নগদ এজেন্টের দোকানে টাকা উত্তোলন করতে এসে অনেক সময় ধরা খেয়ে জনতা হাতে আটক হয় ।
অন্যদিকে হতদরিদ্র সুবিধা ভোগী দেশব্যাপী সরকারের সুবিধাভোগী মানুষের একটা বড় অংশ নির্দিষ্ট সময়ে এ্যাকাউন্টে টাকা আসে তবে সেই কাংখিত টাকা না পেয়ে স্ব-স্ব দপ্তরে অভিযোগও করে। কিন্ত তাদের কাছ থেকে কারা হ্যাক করেছে বিষয়টি ধরা না পড়ায় কিছুই করার থাকে না।
তারা শুধু বিষয়টি আইন শৃংখলা কমিটির সভাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানান।
এ হ্যাকারদের গ্রেফতারে মাঠে নামে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।এরই ধারাবাহিকতায় ( ১৯ নভেম্বর) রোববার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোবিন্দগঞ্জ থানার এ,এস আই আতোয়ার রহমানের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্সসহ উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের ছোট নারিচাগাড়ী গ্রামের চিহ্নিত হ্যাকার সাহিদুলের বাড়ীর ৩টি রুমে ৮ জন হ্যাকার মিলে তাদের কার্যক্রম চলাকালে অভিযান পরিচলনার সময় ওই গ্রামের মৃত সাইফুলের ছেলে হ্যাকার আপেলকে গ্রেফতার সহ ৪টি মোবাইল জব্দ করে।
এঘটনায় অজ্ঞাত কারনে এ,এস আই আতোয়ার হোসেন রাত্রী কালিন পাহার সময় রাত আনুমানিক ১০ টা ৫০ মিনিটে গ্রেফতার দেখিয়ে দেবপুর বাজারে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর সময় গ্রেফতার দেখানো হয়।
তার যে সু-নির্দিষ্ট অপরাধ রয়েছে তা গোপন করে ৮৯৮ নং জিডি মূলে (১৫১)ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে কোর্টে প্রেরন করে।
এর আগে হ্যাকার আপেলসহ ১১জন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমান আদালতে ২০০টাকা করে জরিমানা দিয়ে পার পেয়ে যান। পরে ৬ লাখ টাকায় রফাদফার অভিযোগ উঠে।
সচেতন এলাকাবাসীর দাবী হ্যাকার, জ্বীনের বাদশা দমন করতে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের নজরদারি করে সু-নির্দিষ্ট অপরাধে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে । এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সামছুল আলম শাহ্ বলেন, আটককৃত আপেলকে ১৫১-ধারায় চালান দেয়া হয়েছে।