দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

মনিরুজ্জামান খান পলাশবাড়ী( গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : ভোরের আলো ফোটার আগেই ডালের বড়া তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন গাইবান্ধার জেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের  কারিগররা।প্রথম ধাপে খোসা ছাড়ানো মাষকালাই ডালের গুড়োর সঙ্গে আতব চালের গুড়ো মিশিয়ে সুস্বাদু এই ডাল বড়া তৈরি করা হয়। গ্রামটিতে বছরের অন্যান্য সময়ে ডাল বড়া তৈরি হলেও শীতকালেই চাহিদা বেশি থাকায় দম ফেলার সময় নেই কারিগরদের। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে এখানকার তৈরি ডালের বড়া।
সরেজমিনে,(১৯ নভেম্বর)  রবিবার সকালে গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন  ঘুরে দেখা যায়। শিশির ভেজা সকালে ডালের বড়া বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা একই চিত্র সদর উপজেলা বোয়ালী ইউনিয়নের খামার বোয়ালী গ্রামের গিয়ে দেখা মেলে রাস্তার দুই ধার দিয়ে সারি সারি বড়া শুকানোর চালি। গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার ভোর থেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ছোট-বড়, ছেলে-মেয়ে পবিরারের সবাই কাজে লেগে পড়েছেন ডাল বড়া তৈরিতে। কেউ মেশিনে ভেজানো ডাল তুলে দিচ্ছেন। কেউ বড়া গুটি গুটি করছেন।
কেউ বা চাল ও ডালের গুড়ো দিয়ে তৈরি বড়া শুকানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ডালের বড়ির চাহিদা ভালো থাকলেও ডালসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বাড়ায় লাভ কম হয়। এরপরও বংশ পরস্পরায় পেশাকে টিকিয়ে রাখার কথা জানান কারিগররা। বিশেষ প্রক্রিয়ায় বানানো সুস্বাদু এই বড়া রপ্তানি করা সম্ভব বলেও জানান স্থানীয়রা।
বড়া তৈরি কাজ করছিলেন খামার বোয়ালী গ্রামের হৃদয় চন্দ্র মহন্ত। তিনি বলেন, ‘বংশ পরম্পরায় পেশাকে টিকিয়ে রেখেছেন তারা। শীতকালে এর চাহিদা বেশি। তাই এই সময় ব্যস্ততাও বেশি তাদের। তিনি আরো বলেন, বাপ-দাদাদের দেখে আসছি ডালের  বড়া তৈরি করতে। ছোটবেলা থেকে আমরাও কাজে নেমে পড়তাম। এখন আমাদের কাজ দেখে নাতি-পুতিরা লেগে পড়ে ডাল বড়া তৈরির কাজে। তবে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভ কম হয়। ’
কথা হয় আরেক পরিবারের সন্ধ্যা রানি সাহার সঙ্গে, ‘৭ জনের পরিবার তার। প্রতিদিন ৩০ কেজি থেকে ১ মণ বড়া তৈরি করেন। তিনি বলেন, পেটের দায়ে এ কাজ করি। আগে খুব কষ্ট করা লাগতো। চাল বাটতে হতো, ডাল বাটতে হতো। এবার মেশিন কেনায় সেটা দিয়ে অনেকটা সুবিধা হয়েছে। বেশি পরিমাণে কম সময়ে তৈরি করা যায় বড়া। ’
নিকিল চন্দ্র সাহা যিনি বড়া তৈরির কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এখন খোসা ছাড়ানো মাষকলাই ডাল কিনতে হয় ৭০০ টাকা দরে। তবে বড়া তৈরির করে তা কেজি প্রতি ৩০০-৪০০ টাকা বিক্রি করি। তবে লাভ যা হয় তা সংসারের খরচ চালিয়েও কোনো মতো চলতে পারি। ’
ডাল তৈরি করতে কিছু টা বেগ পেতে হয়। প্রথমে খোসা ছাড়ানো মাষকলাইয়ের ডাল সারা রাত ভিজিয়ে রেখে ভালো করে ধুয়ে নিতে হয়। ডালগুলো আগে পাটায় বেটে নেয়া হলেও এখন বিদ্যুৎ চালিত মেশিনে করা হয়। আধা ঘণ্টা ধরে ব্লেন্ড করতে হয়। একটি বাঁশের ডালায় বা নেটে ছোট ছোট করে সাজিয়ে কড়া রোদে ডালের  বড়িগুলো শুকাতে হয়। এতেই  তৈরি হয় শীতকালীন ডালের বড়া।
ওই গ্রামের তপন চন্দ্র মহন্ত বলেন, শীতের ৪-৫ মাস খুব ভালো চলে। বছরের বাকি সয়ম অন্য কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। তিনি বলেন, আর্থিকভাবে সহযোগিতা করলে এ পেশাকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হতো। তিনি কিছুটা অভিমান করে বলেন, অফিস থেকে নাম লিখে নিয়ে যায় লোন দিবে বলে। ১ মাস হয়ে গেল, আর কোনো খবরই পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জেলা বিসিকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রবীন চন্দ্র রায় জানান,ডাল বড়া তৈরির কারিগরদের স্বল্প সুদে ঋণ দেয়া হবে। যদি কেউ আগ্রহী থাকে তাহলে গাইবান্ধা বিসিক তার পাশে থাকবে। এই শিল্পকে ছড়িয়ে দিতে সার্বিক সহযোগিতাও করা হবে বলে জানান ।
Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওাল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2025 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version