হযরত আলী,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বড় ভাই সিদ্দিক আলমের জমির গাছ জোড় পূর্বক কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছোট ভাই শাহাবুল আলম সাবুর(৩৫) বিরুদ্ধে।
শনিবার(১৮ নভেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগী সিদ্দিকের শালা মিরাজ আহমেদ বাদী হয়ে সাবুকে আসামী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এর আগে উপজেলার পূর্ব-সাড়ডুবি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযুক্ত শাহাবুল আলম সাবু উপজেলার ওই এলাকার আজিজার রহমানের ছেলে।
জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব সাড়ডুবি এলাকায় ভুক্তভোগী সিদ্দিক আলমের ক্রয়কৃত জমিতে প্রায় ৫ টি ইউকেলেপ্টাস গাছ রয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৭০ হাজার টাকা। সিদ্দিক আলমের সাথে শাহাবুল আলম সাবু আগে থেকেই জমি নিয়ে দ্বন্ধ চলে আসছে। এদিকে সিদ্দিক আলম চাকুরি সূত্রে পরিবার নিয়ে বগুড়া জেলার শেরপুরে বসবাস করেন। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ছোট ভাই সাবু বড় ভাই সিদ্দিকের জমির গাছ গুলো জোর পূর্বক কেটে নেয়।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী ও জমির মালিক সিদ্দিক আলমের শ্যালক মিরাজ আহমেদ বলেন, ওই জমি আমার বোন জামাইয়ের ক্রয়কৃত সম্পত্তি। ওই জমিতে প্রায় ৭০ হাজার টাকা মূল্যের গাছ গুলো আমার বোন জামাইয়ের ছোট ভাই সাবু জোড় কেটে নেয়। আমার বোন জামাই বাইরে থাকায় তার পক্ষে আমি থানায় অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে জমির মালিক সিদ্দিক আলমের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ওই জমি আমার ক্রয়কৃত জমি। ছোট ভাই সাবুর সাথে পূর্ব থেকে পৈত্রিক জমি নিয়ে দ্বন্ধ। আমি চাকুরি সূত্রে বাইরে থাকি। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাবু আমার ক্রয়কৃত জমির প্রায় ৫টি গাছ কেটে নেয়। আমি না থাকায় আমার শ্যালক বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে সরজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে সেখানে গিয়ে দেখা হয় অভিযুক্ত শাহাবুল আলমের সাথে। এ সময় তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে ওই জমির গাছ তার তাই তিনি কেটে নিচ্ছেন। আর তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুল আলম বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে এসেছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয় হবে।