মো.ফখর উদ্দিন, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)
গত ২৮ অক্টোবর স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর এটা যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। তবে যান চলাচল ঘিরে আনোয়ারা ও মহানগরের পতেঙ্গা প্রান্তে চলছে উৎসবের আমেজ। টানেল দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা গাড়ি নিয়ে ছুটে আসছেন। প্রথমবার টানেলের ভেতর দিয়ে আসতে পেরে উচ্ছ্বসিত তারা।
টানেলের ওই দুই প্রান্তে চালু হয়েছে লোকাল বাস সার্ভিস। আনোয়ারা প্রান্তের টানেলের সংযোগ সড়ক থেকে পতেঙ্গা প্রান্ত পর্যন্ত জনপ্রতি ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৫০-১০০
টাকা। এছাড়া ঢাকা-কক্সবাজার রুটে দুরপাল্লার থামিয়ে তুলছেন ছবি, কেউ করছেন ভিডিও। বাসগুলোও চলাচল করতে শুরু করেছে টানেল হয়ে।
সরেজমিনে টানেলের আনোয়ারা ও পতেঙ্গা প্রান্ত ঘুরে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু টানেল দেখতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। টানেল সংযোগ সড়কে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। দেশের বিভি- ন্ন স্থান থেকে প্রাইভেট কার, হাইস, নোহা, পিকআপ ও বাসে করে পরিবার, পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে ছুটে আসছেন টানেল দেখতে। ঘুরে ঘুরে পর্যটকরা টানেলের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ দেখছেন এবং টানেলের সংযোগ সড়কে উন্মুক্ত বাতাসে মনোমুগ্ধকর পরিবেশে হাঁটতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। কেউ কেউ টানেলে টোল আদায়ের পর সংযোগ সড়কে গাড়ি
টানেলের ভেতরে গাড়িতে করে ঘুরতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন সবাই। দর্শনার্থী মো. আসিফ বলেন, আমি শহর থেকে টানেল দেখতে বন্ধুদের নিয়ে তিনটা বাজে এসেছি, এখনো গাড়ী পাইনি। কীভাবে নদীর তলদেশ দিয়ে গাড়ী চলে এটা আজকে দেখবো। পতেঙ্গা প্রাপ্ত থেকে আনোয়ারায় আসা শাহজাদা মিরু বলেন, ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী জনসভা বলেছেন দইজ্জের তলদি গাড়ি চলের। আসলে কি গাড়ী চলে, এটা দেখার জন্য ছুটে গিয়েছি। আজকের দিনটা আমার পরিবারের জন্য অনেক আনন্দের। সত্যি বলতে জীবনের প্রথম নদীর তলদেশ দিয়ে আসতে পেরে অনেক খুশি লাগছে।