তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাচন কার্যালয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা, অফিস সহকারীসহ ৩টি পদই শূন্য রয়েছে। মূল তিনটি পদ শূন্য ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা কমলগঞ্জে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকলেও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় চালাচ্ছেন আউট সোর্সাররা।
এতে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন কমলগঞ্জের সেবাগ্রহীতা গ্রাহকরা।কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ জুলাই কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার বদলি হয়ে অন্য উপজেলায় চলে যান। এরপর কুলাউড়া নির্বাচন কর্মকর্তা আহ্সান ইকবালকে কমলগঞ্জে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি ৪ঠা আগস্ট বদলি হয়ে সিলেটের গোলাপগঞ্জ চলে গেলে কুলাউড়া উপজেলার নতুন নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল বাশারকে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হয়। আবুল বাশার আবার ২৫শে অক্টোবর বদলি হয়ে অন্য উপজেলায় চলে যাওয়ার পর থেকে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পদ শূন্য রয়েছে। একই সঙ্গে এ কার্যালয়ে সহকারী ও অফিস-সহায়ক পদ শূন্য রয়েছে। এমতাবস্থায় এ কার্যালয়ে আসা সেবাগ্রহীতা গ্রাহকরা চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত পাঁচজন আউট সোর্সার এ অফিসের কাজ করছেন। আলাপকালে তারা জানান, কোনো প্রকার সংশোধনী আবেদন ও নতুন ভোটার আবেদন এলে তারা জমা নেন। এর চেয়ে বেশি কোনো কাজ করতে পারেন না তারা। আর নির্বাচন অফিসের সব কাজই সার্ভার-নির্ভর। বেশ কিছু দিন ধরে সার্ভার সঠিকভাবে কাজ না করায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তারা সঠিকভাবে গ্রাহকদের সেবা দিতে পারছেন না। তারা আরও জানান, এখন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আতাউল হক’কে কমলগঞ্জ উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কমলগঞ্জের সেবাগ্রহীতা রফিকুল হক বলেন, ‘মেয়ের ভোট তুলতে এসে শত চেষ্টা করেও নির্বাচন কর্মকর্তা না থাকায় এ কাজটি করতে পারছেন না বেশ কিছু দিন ধরে। ’গত সোমবার বিকেলে কমলগঞ্জের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আতাউল হক’কে ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তবে মৌলভীবাজারের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহীন আকন্দ মুঠোফোনে বলেন, ‘আসলে এ বিভাগে জনবলসংকট। তারপরও গ্রাহকদের সেবা দেয়ার চেষ্টা করলেও সার্ভার সমস্যায় তাও বিঘ্নিত হচ্ছে। ’তিনি আরও বলেন, ‘শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আতাউল হক এখন থেকে সপ্তাহে দু’দিন কমলগঞ্জে দায়িত্ব পালন করবেন। ফলে গ্রাহকদের সেবায় সমস্যা থাকবে না।