ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপ-নির্বাচন: আসনের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
১৩২টি ভোট কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী নৌকা প্রতীকে অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (কলার ছড়ি) ও সাবেক দুই বারের সংসদ সদস্য এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭৫৮ ভোট। এর আগে তিনি ২০০৮ ও ২০১৪ সালে মহাজোট সরকারের অংশ হিসেবে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। এছাড়াও অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা পেয়েছেন জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) আব্দুল হামিদ ভাসানী পেয়েছেন তিন হাজার ১৪২ ভোট, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল (গোলাপ ফুল) পেয়েছেন ৫৬১ ভোট এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (আম) ৭৩৯ ভোট।
এরআগে, সকাল ৮টা থেকে সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার মোট ১৩২টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া মৃত্যুবরণ করায় উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ১০ হাজার ৭২ জন।
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ২০ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মোহাম্মদ রাকিব হোসেন লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৪৬ ভোট।
নির্বাচনে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাকের পার্টির শামসুল করিম খোকন গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১২৬ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী আম প্রতীকে পেয়েছেন ৫১৩ ভোট।
রোববার (৫ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে লক্ষ্মীপুর টাউন হলে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন।
তিনি জানান, ৩১ দশমিক ৮৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। আসনটিতে ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৪৪ জন ভোটার রয়েছেন। যার মধ্যে ১ লাখ ২৮ হাজার ৬১২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
এদিকে, ভোট চলাকালে অনিয়মের অভিযোগ তুলে দুপুরের দিকে ভোট বর্জন করেন জাপা ও জাকের পার্টির প্রার্থী।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর বার্ধক্যজনিত কারণে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে ৪ অক্টোবর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মোট ১১৫টি কেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।