ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। দুই আসনেই ভোটগ্রহণ হচ্ছে ব্যালট পেপারে।
ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন রাখতে শনিবার থেকেই মাঠে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন।
এদিকে উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তার দায়িত্বে ৯৫০ জন পুলিশ ও এক হাজার ৪৯৫ জন আনসার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন। ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে সাত প্লাটুন র্যাব ও ছয় প্লাটুন বিজিবি পুরো নির্বাচনী এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর বার্ধক্যজনিত কারণে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামালের মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মোট ১৩২টি কেন্দ্রের ভোটার ৪ লাখ ১০ হাজার ১১২ জন। আর লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে ১১৫টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৪৪ জন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর মারা যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভূঞা। একইদিন মারা যান লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল। তাদের মৃত্যুতে আসন শূন্য ঘোষণা কোরে ভোটের তফসিল দেয় নির্বাচন কমিশন।
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত গোলাম ফারুক পিংকু (নৌকা প্রতীক), জাতীয় পার্টির মো. রাকিব হোসেন (লাঙ্গল প্রতীক), জাকের পার্টির শামছুল আলম খোকন (গোলাপ ফুল প্রতীক) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সেলিম মাহামুদ আম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাঁচ জন। এরা হলেন, আওয়ামী লীগের শাহজাহান আলম (নৌকা প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. রাজ্জাক হোসেন (আম প্রতীক), জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল হামিদ (লাঙ্গল প্রতীক), জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল (গোলাপ ফুল প্রতীক) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. মো. জিয়াউল হক মৃধা (কলার ছড়ি প্রতীক)।
এদিকে, আগামী ২৬ নভেম্বর পটুয়াখালী-১ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের মধ্যেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার কথা। সে হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসা তিন সংসদ সদস্য কোনও অধিবেশন পাবেন না।