স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ
যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো: ওয়াহিদুজ্জামানের সীমাহীন দূর্নীতি ও অনিয়ম এর বিরুদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে মানববন্ধন হয়েছে।
আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে ভুক্তভোগীসহ শতাধিক সাধারণ জনগণ এ মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ওলিয়ার রহমান, নওয়াপাড়া পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খন্দকার, সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, উপজেলা যুবমহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আরেফা মিতা, ভুক্তভোগী তুহিন হোসেন প্রমুখ।মানববন্ধনে সঠিক সময়ে হাসপাতালে ডাক্তারের উপস্থিতি, টেস্ট বানিজ্য বন্ধ, দালাল মুক্ত হাসপাতাল, ন্যায্য ভাড়ায় সরকারি এ্যাম্বুলেন্স, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি মুক্ত হাসপাতাল, সরকারি মেডিকেল যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার, সরকারি ওষুধের সুষ্ঠ বণ্টনসহ নানা দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, অভয়নগর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো: ওয়াহিদুজ্জামানসহ ডাক্তাররা সিন্ডিকেট করে অন্য ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে কমিশন বাণিজ্য করে সাধারণ রোগীদের সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছেন। এ সময় বক্তারা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো: ওয়াহিদুজ্জামানের অপসরণ দাবি করেন। এ ব্যাপারে উদ্ধতন কতৃপক্ষ দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
উপজেলার বুইকরা গ্রাম থেকে আসা ভুক্তভোগী রফিক শেখ বলেন, তার মাকে কিছুদিন আগে হাসপাতালে আনা হলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। ডাক্তার তাকে খুলনা নিয়ে যেতে বলেন। সুলতানা আরেফা মিতা বলেন, আমার খালাত বোনের গতমাসে ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে তাকে আমি হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিন্তু তার প্লাটিলেট একটু কম হওয়ায় চিকিৎসক সেবা না দিয়ে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। আর্থিক অসচ্ছলতার কথা বলে চিকিৎসককে এখানে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করলেও তারা সে অনুরোধ রাখেননি।
শহিদুল ইসলাম বলেন,আমি আমার স্ত্রীকে কিছুদিন আগে হাসপাতালে আনি ডাক্তার দেখাতে। ডাক্তার আমার স্ত্রী সমস্যার কথা সুনে সেবা প্রদানের আগেই বলেন টেস্ট করিয়ে নিয়ে আসেন পরে ওষুধ দিচ্ছি।
স্থানীয় জনগণ এসকল অনিয়ম ও দূর্ণীতির জন্য দায়ী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো: ওয়াহিদুজ্জামানের অপসরণের দাবি জানান।