দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথাসময়ে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কে চোখ রাঙালো কে চোখ বাঁকালো তাতে যায় আসে না। নির্বাচন হবেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসী দল, ২৮ তারিখের ঘটনায় আবারও তার প্রমাণ হলো। এদের স্বভাবের কোনো পরিবর্তন হবে না। সন্ত্রাসীদের যেভাবে শিক্ষা দেয়ার, সেভাবেই দেয়া হবে।
বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপের তাগিদ দিচ্ছেন বিদেশিরা, এমন সম্ভাবনা আছে কিনা প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, কাদের সঙ্গে বসব। ওরা মানুষের জাত নাকি? যেভাবে পিটিয়ে পুলিশ মারল ওইদিন (২৮ অক্টোবর), কোনো মানুষ এমনটা করতে পারে নাকি। ওরা মানুষের জাত নাকি? তাদের সঙ্গে কীসের সংলাপ। এসময় ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় তাদের ধিক্কার জানান শেখ হাসিনা।
সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি খুনিদের দল, তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়। মানবাধিকার সংস্থা বিএনপি মানুষ খুনে নীরব কেন? সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় দেশি বিদেশি সাংবাদিক সংগঠন গুলো চুপ কেন- প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
সাম্প্রতিক বিদেশ সফরের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্রাসেলস সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব এ সফরকালে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্লোবাল গেটওয়ে’র আওতায় বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কানেকটিভিটি, শিক্ষা ও গবেষণা, ডিজিটাল অবকাঠামো এবং চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদনে বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সফরের মাধ্যমে বেলজিয়াম এবং লুক্সেমবার্গের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ আরও বিস্তৃতি লাভ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশসমূহকে এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী ৩ বছরের পরিবর্তে ৬ বছরের জন্য বাণিজ্য সুবিধা এবং জিএসপি সুবিধা প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়েছে।