লঙ্কানদের ৭ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের খেলার সম্ভাবনাটা আরও জাগিয়ে তুলল আফগানরা। গত আসরে একটিও জয় না পাওয়া দলটি এবার ৬ ম্যাচেই তুলে নিল তৃতীয় জয়। এই জয়ে ছয় ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে উঠে এসেছে আফগানিস্তান।
সোমবার পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে আইসিসি বিশ্বকাপের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৩ ওভারে ২৪১ রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা। জবাবে ২৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে হাশমতুল্লাহ শাহিদির দল।
শূন্য রানে ফেরা গুরবাজকে হারানোর পর ঘাবড়ে যায়নি আফগানরা। দ্বিতীয় উইকেটে হাল ধরেন ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ। ৭৩ রানের জুটি গড়েন তারা। ইব্রাহিম ৩৯ রানে ফিরলেও ফিফটি তুলে নেন রহমত। অধিনায়ক শহীদিকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেট ৫৮ রান যোগ করেন তিনি। তবে ফিফটির পর বেশিক্ষণ টেকেননি ডানহাতি এই ব্যাটার। ৭৪ বলে ৭ চারে ৬২ রান করে কসুন রাজিথার শিকার হন তিনি।
রহমত ফেরার পর জয় থেকে তখনো অনেকটা পথ দূরে আফগানিস্তান। কিন্তু তা নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দেন শহীদি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১১১ রান তুলে জয় নিশ্চিত করেন তারা। শহীদি ৭৪ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে। আরেক প্রান্তে অপরাজিত থাকা আজমতউল্লাহ ৬৩ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৭৩ রান। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ দুটো উইকেট নেন দিলশান মাদুশঙ্কা।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ফিরেছেন ব্যক্তিগত ১৫ রানে। এরপর আরেক ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা ও অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস মিলে ইনিংস মেরামত করেন। তারা যোগ করেন ৬২ রান। নিসাঙ্কা ৪৬ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর শ্রীলঙ্কার ইনিংস কখনোই স্থির হতে পারেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা। আফগান পেসার ফজলহক ফারুকির বোলিংয়ের সামনে নাকানিচুবানি খেয়েছেন লঙ্কান ব্যাটাররা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান এসেছে মেন্ডিসের ব্যাট থেকে। আর সাদিরা সামারাভিক্রামা ৩৬ এবং শেষদিকে মাহিশ থিকশানা করেছেন ২৯ রান। এছাড়া বলার মতো রান পেয়েছেন কেবল অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (২৩) এবং চারিথ আসালাঙ্কা (২২)।
বল হাতে আফগানিস্তানের ফারুকি ১০ ওভারে ৩৪ রান খরচে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট গেছে স্পিনার মুজিব উর রহমানের ঝুলিতে। এছাড়া ১টি করে উইকেট পেয়েছেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই এবং রশিদ খান।