রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত এক যুবদল নেতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। নিহত যুবদল নেতার নাম শামীম মোল্লা।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন সংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, নিহত শামীম মোল্লা মুগদা থানা যুবদলের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক নম্বর ইউনিটের সভাপতি ছিলেন।
তাকে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ লাইন হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান।
এদিন বিএনপি-জামায়াতের সমাবেশ ঘিরে রাজধানীর নয়াপল্টন, কাকরাইল ও নাইটিঙ্গেল মোড়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ ঘিরে বিজয়নগর-কাকরাইল-রমনা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুপুরে সংঘর্ষের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশের ওপর। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে বিভিন্ন অলিগলি ও রাস্তায় ক্রমাগত রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে দেখা যায় পুলিশকে। এতে নয়াপল্টন-বিজয়নগর-কাকরাইল এলাকা পুরো ফাঁকা হয়ে যায়। বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
সংঘর্ষে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর রোববার (২৯ অক্টোবর) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীও একই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সারাদেশে শান্তি সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীর নিরাপত্তা জোরদারে রাত থেকে ১১ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পল্টন, মতিঝিল ও রমনা এলাকায় টহল দিচ্ছে বিজিবি। এ ছাড়া কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে ও সচিবালয়ের সামনেও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও প্রস্তুত রাখা হয়েছে আরও ১০ প্লাটুন।