স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের নিরস্ত্র ও শান্তিকামী মুসলমানদের উপর সন্ত্রাসী ও দখলদার রাষ্ট্র ইসরাইল কর্তৃক গত আট অক্টোবর থেকে ধারাবাহিক গণহত্যার বিরুদ্ধে উমাইরগাঁও আল ইকরা একাডেমি’র শিক্ষক,পরিচালনা কমিটি ও ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একটি আলোচনা সভা ও প্রতিবাদ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
২৬ অক্টোবার (বৃহস্পতিবার) উমাইরগাঁও আল ইকরা একাডেমি’র হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে
উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সামনে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ ইসরাইল-ফিলিস্তিনের ইতিহাস এবং চলমান বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন।
সভায় উপস্থিত শিক্ষকেরা ইসরাইলের প্রতি আমেরিকা সহ পশ্চিমা বিশ্বের অন্ধ ও নগ্ন হস্তক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেন এবং আরব সহ মুসলিম বিশ্বের নীরবতা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
গাজার নিরিহ জনগণের অসহায়ত্ব নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে সভায় আবেগগন পরিবেশ সৃষ্টি হয়!সবশেষে ফিলিস্তিনিদের প্রতি দোয়া ও আর্থিক সাহায্যের আবেদন করা হয়।
প্রধান আলোচক হিসেবে অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জনাব আইয়ুব আহমদ মুসলিম বিশ্বের উপর ক্ষোভ ঝাড়েন। তিনি প্রশ্ন তোলেন,”কোথায় আজ সৌদি আরব,মিশর,আরব আমিরাত সহ প্রভাবশালী মুসলিম দেশগুলো? অথচ তারা যদি শক্ত প্রতিবাদ তথা ইসরাইলকে চাপ দিতো তাহলে প্রতি মিনিটে লাশের সম্মুখীন হতো না গাজাবাসী!” তিনি আরও বলেন,”জায়নবাদীদের বিরুদ্ধে এখনই সময় সমগ্র মুসলিম বিশ্বকে এক হওয়ার।”
প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক এম সেলিম উদ্দিন,তার স্বাগত বক্তব্যে ইসরাইল-ফিলিস্তিনের ইতিহাস এবং চলমান গণহত্যা সম্পর্কে কথা বলেন। তিনি বলেন,”অন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্রকে শতাব্দী ধরে অনবরত গ্রাস করে নিজেদের দখলে নেওয়া একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকে যখন পশ্চিমারা নগ্নভাবে সমর্থন করে এবং তাদের পক্ষেই সাফাই গেয়ে যায়। তখন একজন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ হিসেবে ঐ সকল পশ্চিমা শাসকদের ভন্ড,প্রতারক ছাড়া আর কি উপাধি দেওয়ার থাকে!” তিনি আরও বলেন,”ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে সত্য ও শান্তির সু বাতাস প্রবাহের পথকে সুগম করতে অবশ্যই আমাদের ধর্মকে জানা ও মানার পাশাপাশি বিশ্বরাজনীতি,অর্থনীতি,দর্শন সহ সামগ্রিক বিষয়াদির উপর যথেষ্ট জ্ঞান রাখতে হবে।।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন,প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,জামিল আহমদ,রুহেল আহমদ,ফেরদৌসী আক্তার,ফাতেহা আক্তার,জেসমিন বেগম,সাজনা বেগম সহ আরো অনেক।
আলোচনা সভা শেষে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা হাতে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা,ফ্যাস্টুন,ইসরাইল বিরোধী এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে বিভিন্ন শ্লোগানের মাধ্যমে এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করেন। শ্লোগানের ক্ষিপ্ত ধ্বনির আলোড়নে অনেক সাধারণ মানুষকেও র্যালিতে অংশগ্রহন করতে দেখা যায়।