মো: আরিফুল ইসলাম, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কৃষকেরা কৃষির উৎপাদন বাড়িয়ে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাচ্ছেন। কৃষি প্রণোদনা দিয়ে সরকারও কৃষকের পাশে আছে। সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে কৃষকের ভূমিকা অনেক বেশি।
বৃহস্পতিবার(২৬ অক্টোবর) দুপুরে পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রবি মৌসুমের কৃষি প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কৃষক যাতে সহজে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পারে তার জন্য স্টিল সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। কৃষক ভেজা ধান নিয়ে গেলেও তাদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে।ভেজা ধান ড্রায়ারে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হবে। মজুত ক্ষমতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে আরো দুইশত পেডি সাইলো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতোমধ্যে ৩০টি সাইলো একনেকে অনুমোদিত হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য নয়, পিছিয়ে পড়া সকল জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় নানারকম ভাতা দিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। এতে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়ে প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কৃষক সমাজ বিষয়টি অনুধাবন করে উৎপাদন বাড়াতে মনোযোগী হয়েছে। আমাদের ফসল উৎপাদন বহুগুণ বেড়েছে বলেই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। দেশে সারের অভাব নেই- পর্যাপ্ত সার মজুত আছে। সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকার সার আমদানিতে ৪৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তূকি দিচ্ছে। তিনি জনগণকে দেশের উন্নয়নে সরকারের পাশে থাকার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে পোরশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা আক্তার এর সভাপতিত্বে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গাজীবুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন , উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: মেহেদী হাসান , ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: জহিরুল ইসলাম এবং নিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: এনামুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য এবছর রবি প্রণোদনার আওতায় পোরশা উপজেলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে গম,ভুট্টা ,সরিষা,সূর্যমুখী ,চিনাবাদাম ,শীতকালীন পেঁয়াজ,মুগ,মসুর ও খেসারী ফসলের আবাদ বৃদ্ধির জন্য বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে।আজ পাঁচ হাজার সাতশত কুড়িজন কৃষকের মাঝে তিন হাজার দুইশত দশ কেজি বীজ ষাট হাজার কেজি ডিএপি সার ও পঞ্চান্ন হাজার পঞ্চাশ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়। বীজ ও সারের আনুমানিক মূল্য চুয়ান্ন লক্ষ চুয়াত্তর হাজার তিনশত টাকা।
এরপর মন্ত্রী সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ছয়শত ছেষট্টি পরিবারের মাঝে তের হাজার তিনশত কুড়িটি মুরগী বিতরণ করেন।