কে এম নুর মোহাম্মদ
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফের রইক্ষ্যংপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ও মিয়ানমারের ৬০ হাজার কিয়াট টাকাসহ এক মাদক কারবারীকে আটক করেছে র্যাব-১৫।
আটককৃত মাদক কারবারী হলেন, টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড রইক্ষ্যং এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ শাহ আলম (৩৮)।
কক্সবাজার র্যাব-১৫,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও
সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া)
মোঃ আবু সালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে র্যাব-১৫, আভিযানিক দলের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারীর প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে,টেকনাফ থানাধীন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রইক্ষ্যংপাড়া এলাকায় কতিপয় মাদক কারবারী অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় অথবা অন্যত্র চালানের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, সিপিসি-২, হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকার শাহ আলমের বসত ঘরের সামনে পৌঁছালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে একজন মাদক কারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তিকে তল্লাশী করে তার হেফাজত থেকে সর্বমোট ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, মিয়ানমারের ৬০ হাজার কিয়াট এবং ১টি বাটন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও ধৃত ব্যক্তি তার সাথে থাকা অপর তিনজন সহযোগীর নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে এবং তারা র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পালিয়ে যায় মর্মে স্বীকার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ও পলাতক মাদক কারবারীরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবার কারবার করে আসছিল। তারা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য পাশ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে নিজেদের হেফাজতে মজুদ এবং পরবর্তীতে তা স্থানীয় এলাকা ও কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে তাদের নির্ধারিত এজেন্টদের মাধ্যমে বিক্রয় করে মাদক সেবনকারীদের নিকট পৌঁছে দিতো। একই সাথে তারা এই মাদক পাচারে অবলম্বন করতো নিত্য নতুন অভিনব পদ্ধতি।
তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ ধৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।