বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি: রাহিন হোসেন রায়হান
বকশীগঞ্জ উপজেলার চিনারচর উত্তরপাড়ার বাসিন্দা মোঃ দুলাল মিয়া(৪৫) গ্রামবাসীর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে স্থানীয় লোকজন পড়েছে চরম বিপাকে। তাদের বিপরীত পথ হিসেবে অন্যের জমির ধানক্ষেতের আইল দিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে।
জামালপুরের বকশীগঞ্জে মেরুরচর ইউনিয়নে চিনারচর গ্রামে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে ওই এলাকার ৩০টি পরিবার। স্থানীয় বাজারে প্রয়োজনের তাগিদে যাওয়া-আসা করতে গিয়ে এলাকাবাসীর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। একই গ্রামের বাসিন্দা মোঃ দুলাল মিয়া (৪৫) প্রায় দেড় একর সরকারি খাস জমি যোগসাজোসে দখল করে নিয়ে বসতবাড়ি স্থাপন করেছেন। গ্রামবাসীর চলাচলের রাস্তা এই সরকারি খাস জমির উপরে অবস্থিত। মোঃ দুলাল মিয়া দাবি করে এটা আমার নিজের জমি এই জমির উপর দিয়ে গ্রামবাসীদের চলাচল করতে দেব না। গ্রামবাসীরা উপায়ান্তর না পেয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, এলাকার চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা বরাবর নালিশ করে কিন্তু বাদ সাধে সু চতুর মোঃ দুলাল মিয়া তাই তার কারসাজিতে গ্রামবাসী রাস্তাটি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়।
রাস্তাটির বিষয় নিয়ে, এলাকাবাসীর সঙ্গে প্রায় ই কথা কাটাকাটি এবং ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে শনিবার ২১ শে অক্টোবর সকালে মোঃ দুলাল মিয়া(৪৫) চলাচলের রাস্তা কেটে ধান রোপনের জন্য একটি পাওয়ার টিলার নিয়ে আসে এতে এলাকাবাসী বাধা প্রদান করলে উক্ত এলাকাবাসীকে ফাঁসানোর জন্য নিজ বাড়িতে আগুন লাগিয়ে মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। যাতে করে গ্রামবাসীকে হেনস্থা করা যায়। পরে এই বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ সালমান বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন, অভিযোগে ১১ জনকে আসামি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে, মোঃ সালমান(৪০), হিমালী শেখ (৩৮), সুলতানা বেগম(৫৫), আসমা বেগম(২৫) আমাদের জানায়, দীর্ঘদিন যাবত এই রাস্তা না থাকায় আমরা অবহেলিত জীবনযাপন করছি। এলাকার শস্যপূর্ণ বাজারে স্থানান্তর করা সম্ভব হয় না। অসুস্থ বয়স্ক ও শিশু বাচ্চাদের নিয়ে চলাচল খুব কষ্টকর। এর নিরসনকল্পে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ রাস্তা দিয়ে সরাসরি জোব্বারগঞ্জ বাজারে যাওয়া যায়। এলাকাবাসীর নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার সদায়পাতি করেন, এই জব্বারগঞ্জ বাজার থেকে। এই জব্বারগণ বাজার থেকে সরাসরি সংযোগ বকশীগঞ্জ বাজার। আমরা মোঃ দুলাল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি এবং তার মুঠোফোন বন্ধ ছিল। এ ব্যাপারে মেরুরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদের জানান, ঘটনাটি সত্য এ বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার বিচার সালিশও হয়েছে কিন্তু সে রাস্তা ছেড়ে দিতে রাজি নয়। জায়গাটির উপরে মামলা রয়েছে, মামলাটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না।
যত দ্রুত সম্ভব এই ভূমি খেকো মোঃ দুলাল মিয়াকে আইনের আওতায় আনা সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।