নির্বাচনের প্রত্যাশিত পরিবেশ এখনো হয়ে ওঠেনি: ইসি। দৈনিক ইত্তেফাকের শিরোনাম এটি। বলা হচ্ছে অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং উৎসবমুখর নির্বাচনের যে অনুকূল পরিবেশের প্রত্যাশা করা হয়েছিলো সেটি এখনো হয়ে উঠেনি বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গণমাধ্যমের সম্পাদকদের বরাবর পাঠানো এক ধারণাপত্রে এই কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ধারণাপত্রে বলা হয়েছে, প্রত্যাশিত সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে মতভেদ নিরসন হয়নি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধানতম দলগুলো স্ব স্ব সিদ্ধান্ত ও অবস্থানে অনড়। রাজপথে মিছিল, জনসমাবেশ ও শক্তি প্রদর্শন করে স্ব স্ব পক্ষে সমর্থন প্রদর্শনের চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু ওতে প্রত্যাশিত মীমাংসা বা সংকটের নিরসন হচ্ছে বলে কমিশন মনে করে না।
আগামী ২৬ অক্টোবর গণমাধ্যম সম্পাদকদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
পরিবেশ নিয়ে অসন্তুষ্টি, ভোটের প্রস্তুতিতে ইসি – দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম এটি। বলা হয় নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মুখোমুখি অবস্থানে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো।
নির্বাচন কমিশনও মনে করছে, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য প্রত্যাশিত ‘অনুকূল পরিবেশ’ এখনো হয়নি। এ রকম একটা পরিস্থিতির মধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে এনেছে ইসি। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে পাঠানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
ইসি বলছে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ নেই – যুগান্তরের শিরোনাম। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কাউন্টডাউন বা ক্ষণগণনা ১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। এতদিন নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলে আসছিল নভেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট গ্রহণ করা হবে। অথচ তফসিল ঘোষণার কয়েকদিন বাকি থাকতে ইসি বলছে অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যে অনুকূল পরিবেশ প্রত্যাশা করা হয়েছিল সেটি এখনো হয়ে উঠেনি।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র জানায়, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর কখন কোন কাজ করা হবে, তার রূপরেখাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
নির্বাচনে ইইউ পর্যবেক্ষক টিম আসবে থাকবে দুই মাস – নয়া দিগন্তের শিরোনাম এটি। বলা হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংস্থাটি পর্যবেক্ষক পাঠাবে বলে এক চিঠিতে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। তাদের টিম বাংলাদেশে দুই মাস অবস্থান করবে বলেও জানিয়েছে ইসিকে। ইসির একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ২১ নভেম্বর থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য অবস্থান করবে। এ সময় তাদের চার সদস্যের প্রতিনিধিদল ভোট পর্যবেক্ষণ করবে। সাথে থাকবে টেকনিক্যাল টিমের দুই সদস্য।
বিবিসি নিউজ বাংলা থেকে সংগৃহীত: