পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ভারত তুলে নিল দাপুটে এক জয়। ওয়ানডে বিশ্বকাপে এনিয়ে আটবার মুখোমুখি হয়ে আটবারই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারালো তারা।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ১৯১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান। রোহিত শর্মার ৮৬ রানের ইনিংসে ১১৭ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় ভারত।
সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে কোনো চাপ ছাড়াই ব্যাটিং করে স্বাগতিকরা। এক প্রান্ত থেকে চার-ছক্কার পশরা সাজিয়ে বসেন রোহিত। শাহিন আফ্রিদির বলে আউট হওয়ার আগে ৬৩ বলে ৬ টি করে চার ও ছক্কায় ৮৬ রান করেন ভারতীয় অধিনায়ক। তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৩০০ ছক্কার মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
রোহিতকে ভালো সঙ্গে দেন শ্রেয়াস আইয়ার। দুজনে মিলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন তৃতীয় উইকেটে। রোহিত থেমে গেলেও আইয়ার অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে। এছাড়া শুভমান গিল ও বিরাট কোহলি দুজনেই ভালো শুরু পেয়ে আউট হন ১৯ রানে। ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন লোকেশ রাহুল।
এর আগে টস জিতে পাকিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। পাওয়ার প্লেতে শুরুটা ভালোর দিকেই যাচ্ছিল দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম-উল-হকের। কিন্তু অষ্টম ওভারে ৪১ রানের এই উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন সিরাজ। ডানহাতি এই পেসার এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ২০ রান করা শফিককে।
আরেক ওপেনার ইমামও থিতু হয়ে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩৬ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুলের হাতে। ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানের হাল ধরেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ধীরে ধীরে এগিয়ে জুটি গড়ে তোলেন তারা। বিশেষ করে স্পিনারদের কোনো সুযোগই দিচ্ছিলেন না।
অফ ফর্মে থাকা বাবর পাঁচ ইনিংস পর দেখা পান ফিফটি। কিন্তু সেটা আর টেনে নিতে পারেননি। সিরাজের নিচু হয়ে আসা বলে বোল্ড হয়ে ৫৮ বলে ৫০ রানেই থামতে হয় তাকে। তাই জুটি থেমে যায় ৮৬ রানে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রিজওয়ান অবশ্য ফিফটি পাননি। ব্যক্তিগত ৪৯ রানেই তাকে সাজঘরের পথ দেখান বুমরাহ। এর আগে সাউদ শাকিল (৬) ও ইফতিখার আহমেদকে (৪) শিকার করে জোড়া আঘাত হানেন কুলদীপ।
ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান। অথচ ২ উইকেটে ১৫৫ রান তুলেছিল তারা। সেখান থেকে মাত্র ৩৬ রানেই হারিয়ে ফেলে বাকি ৮ উইকেট। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট পান বুমরাহ, সিরাজ, পান্ডিয়া, কুলদীপ ও রবীন্দ্র জাদেজা।
এই জয়ে তিন ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেল ভারত। তাদের মতোই প্রথম দুই ম্যাচে জিতে আহমেদাবাদে এসেছিল পাকিস্তান। কিন্তু আজকের এমন হার বড়ই ধাক্কা দিল তাদের। বিশ্বকাপে অষ্টমবারের দেখাতেও চিরপ্রতিন্দ্বন্দ্বীদের কাছে পাত্তা পেল না তারা।