তাসলিমুল হাসান সিয়াম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে সারা দেশের ন্যায় তিন দিনের কর্মবিরতি পালন করছেন গাইবান্ধার সরকারি কলেজের শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) তৃতীয় দিনের মতো শিক্ষকরা পাঠদান ও দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে এ কর্মসূচি পালন করেন।

শিক্ষকদের এমন কর্মবিরতির কারণে ক্লাস না করেই ফিরে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের। এদিকে আগামী ১৬ অক্টোবর অনার্স ১ম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে কিন্তু শিক্ষকদের কর্মবিরতির ডাক আবার আসলে পরীক্ষা পেছানোর শঙ্কা করছে শিক্ষার্থীরা।

কর্মবিরতি পালন করা শিক্ষকরা জানান, সাধারণ ক্যাডারদের দ্রুত পদোন্নতি হলেও শিক্ষা ক্যাডারদের একটি পদোন্নতির জন্য অপেক্ষা করতে হয় বছরের পর বছর। ফলে অন্যান্য বিসিএস কর্মকর্তাদের তুলনায় শিক্ষকদের বৈষম্য তৈরি হচ্ছে।তাই এই বৈষম্য দূর করার দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা অভিযোগ করেন , শিক্ষা ক্যাডারদের পদ ধীরে ধীরে বিলুপ্ত করে এসব পদে অন্যদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগ খসড়া আইনে শিক্ষা ক্যাডার পদ বিলুপ্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৫তম পে স্কেল বাস্তবায়নে শিক্ষা ক্যাডারদের সর্বোচ্চ পদ রাখা হয়েছে চতুর্থ গ্রেডে। অন্য ক্যাডারদের পদোন্নতি হয় প্রথম গ্রেড পর্যন্ত। ফলে পদোন্নতি না থাকায় শিক্ষা ক্যাডারদের জন্য রাখা ওপরের পদগুলো অন্য ক্যাডার থেকে পূরণ করতে হচ্ছে।

গাইবান্ধা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বাবুল আকতার বলেন,অতীতেও আমরা বিভিন্ন কর্মসূচিতে গিয়েছি। তবে এবারের প্রসঙ্গটি একটু ভিন্ন ৷ আমরা আসলে বাধ্য হয়েছি। প্রথমত আমাদের দেশে সিভিল সার্ভিস রয়েছে এবং সিভিল সার্ভিসে ক্যাডার সার্ভিস রয়েছে৷ ক্যাডার সার্ভিসের অন্যতম একটি ক্যাডার হলো বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার৷ এটি সৃষ্টির পর থেকে বিভিন্ন সময় নানা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে গেছে৷ সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করেছি যে, আমাদের এ সার্ভিসটি ধাপে ধাপে বিলুপ্ত করার একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ মনে হয়েছে আমাদের অস্তিত্ব এবার বিপন্ন হচ্ছে৷ কর্মবিরতিতে যাওয়া ছাড়া সামনে কোনো বিকল্প ছিল না।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version