পবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে “গুণগত ও মান সম্পন্ন শুটকী এবং মাছের পাউডারের মাধ্যমে গর্ভবতী, দুগ্ধদানকারী নারী ও শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিতকরণ এবং উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন” শীর্ষক প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১১ অক্টোবর (বুধবার), বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি সেমিনার কক্ষে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ফিশারিজ টেকনোলজী বিভাগের আয়োজনে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির অর্থায়নে পরিচালিত, অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ মুজাহিদুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় উক্ত ‘প্রকল্প সমাপনী কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ সাজেদুল হক, তিনি বিভিন্ন তথ্য ও চিত্র উপাস্থাপনের মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকার শুটকী উৎপাদনকারীদের শুটকী উৎপাদনে কৌশলগত জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা, নারীদের খাবারের বৈচিত্রতা, নারী ও শিশুদের পুষ্টিমান এর বর্থমান অবস্থা এবং মাছের পাউডার খাওয়ানোর পরবর্তী ফলাফল তুলে ধরেন। উক্ত প্রকল্পে কিভাবে স্বল্প খরচে উন্নত পদ্ধতিতে গুনগত শুটকী মাছ ও মাছের পাউডার তৈরির প্রশিক্ষণ প্রদান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা যায়, উপকূলীয় অঞ্চলের নারী ও শিশুদের উপর মাছের পাউডার খাওয়ার প্রভাব পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণাগারের আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে পুষ্টি গুনাগুন পরিমাপের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায় এসব বিষয় তুলে ধরা হয়।
উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবিপ্রবি’র রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. ফজলুল হক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী। উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, পরিচালকবৃন্দ এবং মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ও ব্যবসায় প্রসাশন অনুষদের শিক্ষকমন্ডলী ও স্নাতকোত্তর অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরাসহ বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির কারিগরি বিশেষজ্ঞ, প্রকল্পের গবেষণা টিমের পুষ্টিবিদ এবং ডাক্তার ।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি বলেন, “উক্ত প্রকল্পের মাধ্যমে অত্র এলাকা তথা উপকূলীয় অঞ্চলের শুটকী উৎপাদনকারীরা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হয়ে নিরাপদ ও উন্নত পুষ্টি গুন-সম্পন্ন শুটকী উৎপাদন করে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন করতে সক্ষম হবে এবং মাছের পাউডারের মাধ্যমে মা ও শিশুদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে।”