স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ২০ অক্টোবর থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। শিশির ভেজা দূর্বা ঘাসের ওপর ঝরে পড়া বকুল ফুল কুড়ানোর সময়টাতে মাতৃবন্দনায় মিলিত হবেন মাতৃভক্তবৃন্দ সকলেই। ইতোমধ্যে শিল্পীদের দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় পূর্ণরুপে ফোটে ওঠছে দৃষ্টি নন্দন অধিকাংশ প্রতিমা। সারা দেশের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরেও চলছে প্রতিমা গড়ার কাজ। এ কাজে খুবই ব্যস্থ সময় পার করছেন স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা।
এ নিয়ে বিভিন্ন মৃৎশিল্পিরা জানান, দেবী দূর্গা আসছেন অন্ধকার আচ্ছন্ন পৃথিবীকে আলোকিত করতে। ঢাক, ঢোল, শংখ ধ্বনী আর উলুধ্বনী দিয়ে দেবী দূর্গাকে বরন করে নেয়ার অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে ভক্তরা। নিজেদের মনের মতো করে প্রতিমার নকশায় নিজেকে সেরা শিল্পী হিসেবে তুলে ধরতে দিন রাত পরিশ্রম করে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎ শিল্পীরা। প্রতি বছরের মতো এবারও ধর্মীয় প্রথা অনুযায়ী ২০ অক্টোবর থেকে শারদীয় দূর্গোৎসবের আয়োজন শুরু হবে। প্রতি বছর মহাআনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকলেও কোভিড-১৯ এর কারনে গত দু‘বছর বাংলাদেশে ভালোভাবে এ পূজা উপভোগ করা যায়নি। এবার পুর্বথেকেই আয়োজন শুরু হওয়ায় ভক্তদের মধ্যে বেশ আনন্দ বিরাজ করছে।
স্থানীয় দশভুজা বাড়ীতে কর্মরত মৃৎশিল্পী নারায়ন চন্দ্র পাল জানান, আমি দীর্ঘ ২৭ বছর যাবত প্রতিমা তৈরীর কাজ করে আসছি, আমার বাপ, দাদারাও এ কাজে নিয়োজিত ছিলেন, তাদের উত্তরসুরী হিসেবে আমিও এই কাজ করছি। প্রতি মন্ডপের প্রতিমা তৈরী বাবদ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা মুল্য গ্রহন করেন তিনি।
উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মানেশ চন্দ্র সাহা কে বলেন, সরকারী নির্দেশনা মেনে দুর্গাপুর উপজেলায় এবার প্রায় ৬২টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এ উৎসব সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ উত্তম চন্দ্র দেব বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজার উৎসবকে সামনে রেখে শহরে পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সকল মন্ডিপের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নিয়ে সভা করেছি। আশা করছি কোনপ্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে পুজা সম্পন্ন করতে পারবো।
এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব-উল-আহসান বলেন, শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে দুর্গাপুরের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো। প্রত্যেকটা পূঁজা মন্ডপে সরকারি বিধি মোতাবেক পুজা সম্পন্ন্যের জন্য নেতৃবৃন্দকে নিয়ে প্রশাসনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলার যেন কোন অবনতি না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে পুলিশ ও আনসার বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সকলের সহযোগিতা পেলে আশা করছি শারদীয় পুজা ভালো ভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।