ইংল্যান্ডের ৩৬৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে যেমন শুরু দরকার ছিল, তার ধারেকাছেও যেতে পারেনি বাংলাদেশ। শুরুতে বিপর্যয়, মাঝে সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা, এরপর আবার ভেঙে পড়া শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ হেরেছে ১৩৭ রানে।
আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন ব্যাটাররা। ৮.৩ ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। একে একে ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম তিনজনই রিস টপলির শিকার। পরে তিনি উইকেট নিয়েছেন আরো একটি। নিউজিল্যান্ড ম্যাচের একাদশ থেকে মঈন আলীকে বসিয়ে এই ম্যাচে টপলিকে সুযোগ দেওয়া হয়।
টপলির ঝড় শেষে মাঝে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। কিন্তু সেটা ওই সামাল দেওয়া পর্যন্তই ছিল।
দুজনের ৭০ রানের জুটি ভেঙেছে লিটনের বিদায়ে। ৭৬ রান করেছেন তিনি। ৬৬ বলের ইনিংসে সাত চার ও দুই ছক্কার মার রয়েছে। বাংলাদেশের ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ স্কোর। লিটন-মুশফিকের পর জুটি অবশ্য আরো একটি হয়েছে। তবে মুশফিক-তাওহিদ হৃদয়ের সেই জুটি যতটা না ম্যাচ জয়ের জন্য ছিল, তার চেয়ে বেশি হারের ব্যবধান কমানোর জন্যই মনে হয়েছে। দুজনের জুটি থেকে এসেছে ৪৩ রান।
ফিফটির পর টপলিকে আপার কাট করতে গিয়ে আদিল রশিদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন মুশফিক। ৬৪ বলে ৫১ রান করেছেন তিনি। এই জুটি ভাঙার পর বাংলাদেশের ইনিংস আর এগোয়নি। বলার মতো স্কোর বলতে হৃদয়ের ৩৯ রানই। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়েছে ২২৭ রানে। শেষ ১০ ওভারে বোলারদের ঘুরে দাঁড়ানোও জাগাতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাটারদের। ইংল্যান্ডের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে একটা সময় ৪০০ রানের স্কোর যথেষ্ট সম্ভব মনে হচ্ছিল। সেটা হতে দেননি শরীফুল ইসলাম-শেখ মেহেদী হাসানরা। শেষ ১০ ওভারে তাঁরা দিয়েছেন মাত্র ৬৬ রান। তাতে ইংল্যান্ডের ইনিংস থামে ৩৬৪ রানে। ইংলিশদের পাহাড়সম স্কোরের বড় অবদান ডেভিড মালানের ১৪০, জো রুটের ৮২ ও জনি বেয়ারস্টোর ৫২ রানের তিনটি ইনিংস। যে অপূর্ণতা ছিল বাংলাদেশের ইনিংসে। বাংলাদেশের ইংলিশ-পরীক্ষা তাই শেষ হলো বড় হারে।
বাংলাদেশের বোলারদের ওপর ঝড় তুলে ৩৬৪ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে ইংল্যান্ড। বল হাতে এ দিন স্বস্তিতে ছিলেন না সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমানরা। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১ ওভার কম করেছে বাংলাদেশ। যেকারণে তাদের এই জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইসিসি।