শ্রীলঙ্কাকে হারাতে হলে রেকর্ড রান তাড়া করতে হতো পাকিস্তানকে। ৯২-এর চ্যাম্পিয়নরা পেরেছে। ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের সেঞ্চুরিতে ৩৪৫ রানের বিশাল লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ১০ বল ও ছয় উইকেট হাতে রেখে রেকর্ড গড়ে জিতেছে পাকিস্তান।

বিশ্বকাপে এটিই সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এর আগে ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের দেয়া ৩২৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল আয়ারল্যান্ড। এ নিয়ে বিশ্বকাপে লংকানদের বিপক্ষে আট ম্যাচ খেলে আটটিতেই জিতল পাকিস্তান। নেদারল্যান্ডসকে হারানোর পর লংকানদের বিপক্ষে জিতে সেমির পথে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।

যদিও রান তাড়া করতে নেমে ইমাম উল হক ১২ ও বাবর আজম ১০ রানে ফিরে গেলে ধাক্কা খায় পাকিস্তান। এরপরেই হাল ধরেন পঞ্চম ম্যাচ খেলতে নামা আব্দুল্লাহ শফিক ও অভিজ্ঞ রিজওয়ান। দুইজন মিলে গড়েন ১৭৬ রানের জুটি। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে চাপ জয় করে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন শফিক।
১০৩ বলে ১১৩ রানে শফিক ফিরে গেলে পাকিস্তানের হাল ধরেন রিজওয়ান। সঙ্গে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন সউদ শাকিল। ৩০ বলে ৩১ করে শাকিল ফিরে গেলেও ১২১ বলে ১৩১ রানে অপরাজিত থেকে পাকিস্তানকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন রিজওয়ান। শেষ দিকে নেমে ১০ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন ইফতেখার আহমেদ।
এর আগে হায়দরাবাদে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি লঙ্কানদের।

হাসান আলীর বলে রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফেরেন কুশল পেরেরা। অবশ্য দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এই বিপদ সামাল দেন মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কা। ১০২ রানের জুটি গড়েন এই দুজন। ৫১ রান করা নিশাঙ্কাকে ফেরান শাদাব খান।

এরপর পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলায় মাতেন মেন্ডিস। ৬৫ বলে শতরান স্পর্শ করে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কান হিসেবে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড নিজের করে নেন এই ব্যাটার। এর আগে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল কুমার সাঙ্গাকারার দখলে।

বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে আছে মেন্ডিসের আজকের এই শতক। ৭৭ বলে ১২২ রান করে হাসান আলীর বলে আউট হয়ে ফেরেন মেন্ডিস। ১৪টি চার এবং ছয়টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। তাঁর সেঞ্চুরির পর হাল ধরেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। ৮৯ বলে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১০৮ রানের অনবদ্য ইনিংস। শেষ দিকে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ২৫ রানের পর ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৪৪ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। ১০ ওভারে ৭১ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন হাসান আলী।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version