তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এক যুবককে মিথ্যা মামলায় জড়ানো ও মানহানিকর ভিডিও ফেসবুকে মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্য অপপ্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে গত (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২ টা থেকে ভোর সাড়ে পাঁচটার মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে অজ্ঞাতনাম চোরেরা উপজেলার আদমপুর রাস্তার উপর গাছ কেটে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েক টুকরো গাছ রাস্তায় রাখা অবস্থায় কমলগঞ্জ থানা পুলিশ আটক করে। উক্ত বিষয়ে থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করে অজ্ঞাত নামা আসমি উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, উক্ত বিষয়ে দক্ষিণ খোশালপুর গ্রামের আব্দুল মতিন এর ছেলে হামিম মাহমুদ (২৮)কে ফাঁসানোর জন্য উপজেলার পূর্ব জালালপুর গ্রামের মৃত আজাদ মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (৩০) গং রা উঠেপড়ে লেগেছে। রিপন মিয়ার মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে তাহার বাড়িতে গত (৫অক্টোবর) সকাল অনুমান সকাল ১০টার দিকে একটি ভিডিও ধারণ করে ভিডিওতে হামিম মাহমুদের নামে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার করে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল করে দেয় রিপন।
হামিম মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন যাহাতে হামিমসহ তার পরিবারের মানহানি হয়। হামিম বলেন, রিপন মিয়া আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য চেষ্টা করছে। রিপন এর ভয়ে হামিমসহ পরিবারবর্গ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। রিপন গং অদূর ভবিষ্যতে যেকোনো সময় বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে বলে মনে করছেন এবং এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সকলকে অবগত করে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আপনারা জানেন সামনে কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন হবে, আমি সেখানে সভাপতি পদপ্রার্থী, যাতে করে কমিটিতে না আসতে পারি। সেজন্য আগেও অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে সব ষড়যন্ত্রে ষড়যন্ত্রকারীদের পরাজয় হয়েছে আর ইনশাআল্লাহ এবারো তার ব্যতিক্রম হবে না, যারা আমার নামে মিথ্যা ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার করছেন আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার উপর আস্থা আছে এবং কমলগঞ্জের সকল নেতৃবৃন্দ সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্য করে বলবো বিএনপি, বিএনপিয়ালা কিছু সাংবাদিক একজোট হয়ে এসব করছে আপনারা বিশ্বাস রাখবেন আমার উপর কারন আমি রাজনৈতিক জীবনে কখনো কোনো অন্যায় বা খারাপ কাজ করিনি। সে টমটময়ালা যদি ঘটনার দিন রাতে কমলগঞ্জ আসে তাহলে তার মোবাইল লোকেশন দেখাবে! আমি যদি আদমপুর যাই তাহলে আমারও মোবাইল লোকেশন থাকবে আর আমি সেটা প্রমাণ করবো সত্যের জয় সুনিশ্চিত।
এ বিষয়ে জানতে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাতে যোগাযোগ করলে কমলগঞ্জ থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।