সিরিয়ার হোমস প্রদেশের একটি সামরিক কলেজে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে ড্রোন হামলায় নিহতের সংখ্যা ১০০ জনে পৌঁছেছে। হামলায় আহত হয়েছেন আরও ২৪০ জন। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেলের দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। খবর আলজাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার হোমস প্রদেশের একটি সামরিক কলেজে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে ড্রোন হামলায় অন্তত ১০০ নিহত এবং ২৪০ জন আহত হয়েছেন বলে একজন যুদ্ধ পর্যবেক্ষক এবং সিরিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।
তবে সিরিয়ার মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের এই হামলায় ১০০ জনের বেশি মানুষ নিহত ও ১২৫ জন আহত হয়েছেন। সিরিয়ার সরকারকে সমর্থনকারী জোটের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, নিহতের সংখ্যা প্রায় ১০০।
সিরিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসান আল-গাবাশ অবশ্য হামলায় নিহতের সংখ্যা আরও কম বলেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে তিনি বলেছেন, হামলায় ছয় শিশুসহ ৮০ জন নিহত হয়েছেন। তবে আহত হয়েছেন প্রায় ২৪০ জন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গ্রুপ দায় স্বীকার করেনি।
সিরিয়ার মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ওই একাডেমির মিলনায়তনে সেনাসদস্যদের সনদ প্রদান অনুষ্ঠান ছিল। দেশটির সেনাবাহিনী ও কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তা সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানটি শেষ হওয়ার আনুমানিক ২০ মিনিটের মধ্যে ড্রোন হামলা হয় সেই একাডেমিতে।
সিরিয়ার সেনাবাহিনী এর আগে বলেছিল, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানটি শেষ হওয়ার পরপরই বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোনটি সেখানে হামলা চালায়। এক বিবৃতিতে দেশটির সামরিক বাহিনী এই হামলার জন্য ‘পরিচিত আন্তর্জাতিক বাহিনীর সমর্থনপুষ্ট’ যোদ্ধাদের অভিযুক্ত করেছে।
এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস হোমসে ড্রোন হামলার পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় ‘প্রতিশোধমূলক গোলাবর্ষণের খবরে’ ‘গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন’ বলে তার মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন।