কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : ভারতের শান্তি নিকেতনে বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার দত্ত বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশ এই দুটি দেশের যে সম্প্রীতি ও সমন্বয় তার মাঝে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিরাট ভূমিকা পালন করেছে এবং তা করে চলেছে। এই পালন করার মধ্যে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি আমি বলবো বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের অবদান যথেষ্ট। তিনি (বঙ্গবন্ধু) তার বহু বক্তৃতা অনেকগুলো বইয়ে মধ্যে আমি দেখিছি। সেখানে মজিবুরের রহমানের যে সমস্ত উক্তি রয়েছে সেসব উক্তিগুলো মানুষ পড়লে দেখতে পাবেন বঙ্গবন্ধু কতখানি প্রাবন্ধিক ছিলেন। যা রবীন্দ্রনাথের চিন্তার ও ভাবনার সাথে মিল রয়েছে। এরকম এক অসাধারণ অনুভুতি আমার মাঝে কাজ করে। আমি যখন রবীন্দ্রনাথ পড়ি তখন বুঝতে পারি রবীন্দ্রনাথ কখন, কোথায়, কি বলেছেন এবং সেই ভাবনগুলো শেখ মজিবুর রহমানে মাঝে উপস্থিত। ১৯৭১ সালে ৭ মার্চে সেই বিখ্যাত বঙ্গবন্ধুর মাত্র ১৮ মিনিটের ভাষনটি আজকে ইউনেস্কোর ডকুমেন্টারী হেরিটেজ ডকুমেন্ট হিসেবে স্বীকৃত।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবার) দুপুরে নেত্রকোণা পাবলিক হল মিলনাতয়নে বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদ নেত্রকোণা জেলা শাখার আয়োজনে বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি উৎসব ২০২৩ এর প্রথম দিনে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং ভারতের অবদান বিষয়ক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথমে দুই দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনা শেষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতি পরিষদ নেত্রকোণা শাখার সভাপতি কেশব রঞ্জন সরকার। উদ্বোধক ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও এ পরিষদের উপদেষ্টা বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. নীম চন্দ্র ভৌমিক। উপস্থাপনায় ছিলেন ভারতের দূরদর্শন ও আকাশবাণীর শিল্পী শাশ্বতী গুহ ও বাংলাদেশের সংগঠক ও গবেষক ওয়ালিউর রহমান বাবু।
অন্যাদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, নেত্রকোণা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক উপ-পরিচালক ফজলুর রহমান সরকার, ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী, চিত্রনির্মাতা এস বি বিপ্লব প্রমুখ।
দুদিন ব্যাপী এ সম্প্রীতি উৎসবে প্রথম দিনে আলোচনা সভা ছাড়াও বিকেলে ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতি বন্ধনে কবিতা পাঠ ও সন্ধ্যায় ভারতীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিতীয় দিন (বুধবার) সকালে সঙ্গীতগুরু আচার্য শৈলজারঞ্জন মজুমদারের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে এস বি বিপ্লবের গবেষণা, পান্ডুলিপি, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা “রবির কিরণে শৈররঞ্জন“ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের শুভমুক্তির পূর্বে নেত্রকোণায় পোষ্টার উন্মোচনের পরে আন্তর্জাতিক সেমিনার এবং দুপুরের দিকে বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি বন্ধন বিষয়ক আলোচনা ও সন্ধ্যায় নেত্রকোণার শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হবে।