মোঃ বেল্লাল হোসাইন নাঈম,
স্টাফ রিপোর্টারঃ
নোয়াখালীর চাটখিল পৌরসভার গভীর রাতে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এক উদ্যোক্তা ও খামারির স্বপ্ন। এতে অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পৌরসভার আহম্মদ ব্যাপারী বাড়ির জয়নাল আবেদীন (হাজারীর) বসতঘর, তার ছেলে জাহাঙ্গীরের কবুতরের খামার, গরুর খামার ও গ্যারেজে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
গত সোমবার (২অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলায় পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জয়নাল আবেদীন হাজারীর ছেলে খামারি জাহাঙ্গীর আলমের বিবরণীতে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে সবাই যখন গভীর ঘুমাচ্ছিলো। তখন গ্যারেজ রুমের পাশের রুমে থাকা লোকজন আগুনের সূত্রপাতের টের পায়। তৎক্ষণিক তারা চিৎকার শুরু করলে বাড়ির সবাই ঘুম থেকে উঠে কোন মতে প্রাণে বেঁচে যায়। মুহূর্তে আগুনের লেলিহেন শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে চাটখিল ফায়ার সার্ভিসের দুইটি টিম ছুটে আসে। ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও ইতোমধ্যে বাড়ির সবকিছু পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। তবে জনমানুষের হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। অগ্নিকাণ্ডে তিনটি বসতঘর, একটি গ্যারেজ ও বসতঘরে থাকা সকল প্রকারের আসবাবপত্র ফ্রিজ, টিভি, জামা কাপড় নগদ টাকা এবং গ্যারেজে থাকা ১৫টি অটোরিকশা, খামারে থাকা অনেকগুলো কবুতর ও একটি গরু সম্পূর্ণ পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়।
জাহাঙ্গীর আরো জানান, তার ছোট ভাই আলমগীর হোসেনের দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া সকল প্রকারের কাগজপত্র পাসপোর্ট পুড়ে ছাঁই হয়ে যাওয়ায় এখন তার কোরিয়া যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তৎক্ষণিক অধ্যক্ষ মাওলানা সাইফুল্লাহ্ সহ চাটখিলের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছুটে আসেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরানুল হক ভূঁইয়া শোক প্রকাশ করে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যদি কোন সহযোগিতা করার সুযোগ হয় তবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহযোগিতা করবো।