তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
বিগত ২৭ আগস্ট রোজ রবিবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের লেমন গার্ডেন রির্সোট এর বৃষ্টি বিলাশ কটেজের ২য় তলার ৫ নং কক্ষের বিছানার উপর থেকে শরীফুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যক্তির মাথা থেতলানো রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। এই ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ২৭/২৬১, তারিখ- ২৮ আগস্, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে মৌলভীবাজারসহ দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে আসামীদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব এই হত্যাকান্ডের ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাবের একাধিক আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত অনুমান সাড়ে ১২টায় (২৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত) সাড়ে ১২টার সময় ঢাকার গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন ধলাদিয়া বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে শ্রীমঙ্গলের লেমন গার্ডেন রিসোর্টে আলোচিত ও চাঞ্চল্যেকর পর্যটক হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামী কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার বচইড় (খলিল বাড়ী) এলাকার বাসিন্দা মোঃ ইসমাইল মিয়ার ছেলে ওসমান গনি (৩৪)।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ভিকটিম শরীফুল ইসলাম (৪০) একজন কার্টুন ব্যবসায়ী। বিগত ২৪ আগস্ট রাত অনুমান ১০ টার সময় ভিকটিম অন্যান্য আসামীদের সাথে বেড়ানোর জন্য শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে ঢাকা হতে রওয়ানা করেন। পরবর্তীতে, ২৫ আগস্ট সকালে ভিকটিম শরীফুল ইসলাম (৪০) অন্যান্য আসামীদের সাথে শ্রীমঙ্গলের লেমন গার্ডেন রির্সোট এর বৃষ্টি বিলাশ কটেজের ২য় তলার ০৫ নং কক্ষে উঠেন। গত ২৭ আগস্ট দুপুর ১২টায় তাদের কটেজ ত্যাগ করার কথা থাকলেও সকাল আনুমানিক পৌনে ১২ টার সময় রির্সোটের হাউজ কিপিং কটেজের দরজায় দীর্ঘক্ষণ নক করে ভেতর থেকে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানান। কর্তৃপক্ষ শ্রীমঙ্গল থানায় অবহিত করলে পুলিশ রিসোর্টে গিয়ে বিকল্প চাবি দিয়ে কক্ষের ভেতর ঢুকে ভিকটিমের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ তল্লাশী কালে কটেজের দক্ষিণ পাশের জঙ্গল থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি কাঠের টুকরা উদ্ধার করে।
পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
যেকোন ধরনের অপরাধীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাবের চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান নিয়মিত অব্যাহত থাকবে।