তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
শুভ গনেশ চতুর্দশী উপলক্ষে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে “কৈলাশ সনাতনী সংঘের” আয়োজনে পূজা উদযাপন করা হয়। সনাতন ধর্মমতে মাতা পার্বতীর প্রিয় পুত্র শ্রীশ্রী গনেশ। সকল সন্তানের মধ্যে মাতা পার্বতীর প্রিয় পুত্র এ দিনটিকে স্মরণ শত শত ভক্ত বৃন্দের উপস্থিততে প্রতিমা স্থাপনের মধ্যে দিয়ে পূজার্চনা শুভারম্ভ হয়। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভক্ত বৃন্দের উপস্থিতিতে মৌলভীবাজার রোডের দূর্গা বাড়িতে দিন ভর বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালার মধ্যে অঞ্জলী প্রদান, মহাপ্রসাধ বিতরণ,গীতাপাঠ, সন্ধ্যা আরতী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে পূজায় উৎসবে অংশ নিতে আশা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় কৈলাল সনাতনী সংঘকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন এমন আয়োজন অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।
এদিনটিকে ঘিরে সনাতনী সম্প্রদায়ের আচার অনুষ্ঠানে বৃষ্টি উপেক্ষা করে শতশত নারী পুরুষের উপস্থিততে এক মিলন মেলায় পরিণত হয়। কৈলাশ সনাতনী সংঘের পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে ক’জনের সাথে কথা বলতে জানান, এবছর নিয়ে তৃতীয় বছরে পদার্পণ করেন। আগামীতে সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে আরও উৎসবমুখর করে তুলার আশা করেন।
গণেশোৎসব হিন্দু দেবতা গণেশের বাৎসরিক পূজা-উৎসব। শিব ও পার্বতী পুত্র গজানন গণেশ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বুদ্ধি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের সর্বোচ্চ দেবতা। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন এই দিন গণেশ তার ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করতে মর্ত্যে অবতীর্ণ হন। সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মোৎসব রূপে পালিত হয় এই উৎসব। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী ভাদ্র মাসের শুক্লা চতুর্থী তিথিতে গণেশের পূজা বিধেয়। সাধারণত এই দিনটি ২০ অগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মাঝে কোনো এক দিন পড়ে। দশদিনব্যাপী গণেশোৎসবের সমাপ্তি হয় অনন্ত চতুর্দশীর দিন। ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষ চতুর্থী মধ্যাহ্নব্যাপিনী পূর্বাবিদ্ধ- এই পূজার প্রশস্ত সময়। চতুর্থী দুই দিনে পড়লে পূর্বদিনে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এমনকি দ্বিতীয় দিন মধ্যাহ্নের সম্পূর্ণ সময়ে চতুর্থী বিদ্যমান হলেও পূর্বদিন মধ্যাহ্নে এক ঘটিকার (২৪ মিনিট) জন্যও যদি চতুর্থী বিদ্যমান থাকে তবে পূর্বদিনেই গণেশ পূজা হয়।