জহরুল ইসলাম, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ-
প্রতিটা শিক্ষার্থীর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় প্রবেশিকা অনুষ্ঠান অন্যতম অনুভুতির একটি দিন। অথচ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) গত দুই বছর ধরে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রবেশিকা অনুষ্ঠান করা হচ্ছে না। এর দ্বারা শিক্ষার্থীদের বরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনিহা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণের স্বীকৃতিবঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার দপ্তর থেকে জানা যায় সর্বশেষ ২০১৯ সালে ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। এরপর ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হলেও প্রবেশিকা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে অনুষদের ডিন ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা আনুষ্ঠানিকভাবে নবাগত শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য বরণ করে নেন। অনুষ্ঠানে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার শপথবাক্য পাঠ করান। প্রধান বক্তার বক্তব্যে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অবগত করা হয়। তবে ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে যথেষ্ট সুযোগ থাকলেও প্রশাসনের সদিচ্ছা না থাকায় প্রবেশিকার আয়োজন দৃশ্যমান হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক কার্যক্রম একসঙ্গে চলমান থাকে। একটির জন্য অন্যটি পরিচালনা করতে না পারাকে সদিচ্ছার ঘাটতি হিসেবে দেখছেন তারা।
এছাড়া তাদের মতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশিকা অনুষ্ঠানের গুরুত্ব অপরিসীম। এ ধরনের অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়ক। বৃদ্ধি পায় জীবনে ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা। আগ্রহ বাড়ে পড়াশোনার প্রতি। অবগত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে।
এই বিষয়ে ভর্তি বিষয়ক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান বলেন,” গতবছর আমরা আয়োজন করার জন্য চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু কোনো একটা কারণে হয়নি। এই বছর আজকেই হওয়া প্রয়োজন ছিল, তবে সামনে হবে কিনা জানি না।এই বিষয়ে ভিসি স্যারের সাথে যোগাযোগ করো”
এই বিষয়ে ভাইস চ্যান্সেলর ড.এ.কিউ.এম. মাহবুবকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি এই বছর হবে বলে কল কেটে দেন।
বিস্তারিত জানার জন্য দ্বিতীয়বার কল করা হলে তিনি আর রিসিভ করেননি।