ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরি টেলিং ওয়ার্কশপ: লিগ্যাল এ্যান্ড শরিয়াহ পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ১৩৪ নং কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি এবং আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের যৌথভাবে কর্মশালাটির আয়োজন করে৷ অনুষ্ঠানটির সহযোগিতায় ছিল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগ।
আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল কাবিল খান। অতিথি হিসেবে ছিলেন ইবির আইন বিভাগের প্রফেসর ড. শাহজাহান মন্ডল ও আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন।
ইবি ফটোগ্রাফিক সোসাইটির স্ক্রিপ্ট রাইটার এ্যান্ড হোস্ট লামিয়া হোসাইনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি নাছির উদ্দীন আবির, সাধারণ সম্পাদক হৃদয় তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন, মাইনুল, সাংগঠনিক সম্পাদক গালিব, দপ্তর সম্পাদক নাইম, কোষাধ্যক্ষ শামিম সহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।
কর্মশালায় কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরি টেলিং ওয়ার্কশপের আইনি দৃষ্টিকোণের উপর আলোচনা করেন প্রফেসর ড. শাহজাহান মন্ডল। এছাড়া এর শরয়ী দৃষ্টিকোণ নিয়ে আলোচনা করেন ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন, মানবতার জন্য দরকারী কাজ করা জায়েয এবং এটা প্রয়োজনের ভিত্তিতে বাধ্যতামূলক ও ওয়াজিব হতে পারে। মিথ্যা বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা অবৈধ। কাজটি শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ হতে হলে তথ্যে সততা, ট্রান্সমিশনে নির্ভুলতা এবং বিষয় উপস্থাপনে বস্তুনিষ্ঠতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। কুৎসা, গীবত, পরচর্চা, কেলেঙ্কারি ও অপবাদ থেকে বিরত থাকতে হবে৷ এছাড়াও তিনি কপিরাইট, স্টোরিটেলিংয়ের শরয়ী চ্যালেন্জ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা সহ বিভিন্ন বিষয়ে কুরআন ও হাদীসের দলীল উল্লেখপূর্বক বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ক্যামেরা সেটিংস, সমসাময়িক চাহিদাসম্পন্ন ছবি, স্টোরি আইডিয়া ও রিচার্স সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন ড. আব্দুল কাবিল খান। তিনি বলেন, যে স্টোরি নিয়ে সমাজে কেউ কথা বলেনা সেটাই স্টোরি। তৃণমূল মানুষদের বিভিন্ন অজানা বিষয় স্টোরি হতে পারে। স্টোরি নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সমসাময়িক চাহিদাসম্পন্ন বিষয়কে নির্বাচন করতে হবে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দর্শক নির্বাচন, কোন মাধ্যমে দর্শক আপনাকে দেখবে তাও ঠিক করতে হবে।
পরে তিনি বিভিন্ন ব্যবহারিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। ক্যামেরা সেটিংস, স্টোরির কোয়ালিটি, এফপিএস (ফ্রেম পার সেকেন্ড), ভিডিওর উপযুক্ত ফ্রেম ব্যবহার সহ নানা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। কর্মশালায় শেষে অংশ নেওয়া সকল শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।