তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

বকেয়া পাওনা অন্তোষে ঠিকাদার মো: সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (২৮)কে খুনের ঘটনার সহিত জড়িত দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্যে এ তথ্য জানান মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাজনগর উপজেলার শ্যামেরকোনা, (নোয়াগাঁও) গ্রামের আব্দুল্লাহর ছেলে আব্দুল মুমিন (২৩) ও মানিক মিয়ার ছেলে জাহির মিয়া (২১) ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গতকাল শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে ১০নং নাজিরাবাদ ইউনিয়নের ছিকরাইল গ্রামে জয়নাল মিয়ার ছেলে মাহিন আহমদ তাদের বসত বাড়িতে একটি মৃত দেহ পড়ে রয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃত দেহ উদ্ধার করে । তদন্তকালে জানা যায় যে, মৃত সিরাজুল ইসলাম (২৮) পিতা-মোঃ চুনু মিয়া, সাং-মালিকোনা, ৮নং মুনসুরনগর ইউপি, থানা- রাজনগর, জেলা-মৌলভীবাজার রাজমিস্ত্রীর ঠিকাদার এর কাজ করতো। গত ১ বছর যাবত অত্র থানাধীন ১০নং নাজিরাবাদ ইউপির ছিকরাইল সাকিনের জনৈক মাহিন আহমদ, পিতা-জয়নাল মিয়া এর বসত বাড়িতে পাকা বিল্ডিং এর বসতঘর নির্মাণ কাজ শ্রমিকদের মাধ্যমে করিয়া আসিতেছে। গত দেড় মাস পূর্বে নির্মান কাজের জন্য শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়া সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে নিয়োগ করে। বেশ কয়েকদিন যাবত তাহার নিয়োগকৃত শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন বিবাদীর কাজের মজুরী নিয়া মৃত সিরাজুল ইসলাম (২৮) এর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তারই সূত্রধরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত সোয় ১২ টা হইতে বিকাল অনুমান ৩ টার মধ্যবর্তী যেকোন সময় শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন মিলে মৃত সিরাজুল ইসলাম এর মাথায়, ডান গালে, ডান চুখের ভ্রুর উপর, উভয় ঠোঁটের ডান পাশে, থুথুনীর ডান পাশে এবং নাকের অগ্রভাগে কাটা জখম করিয়া হত্যা করে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়।
ওসি আরও জানান, পরবর্তীতে মৃত সিরাজুল ইসলাম (২৮) এর ছোট ভাই নুরুল ইসলাম (১৯) উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত এজাহারের প্রেক্ষিতে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় খুনের মামলা রুজু করিয়া মামলার তদন্তভার এসআই(নিঃ) আবুল কালাম চৌধুরী এর উপর দেয়া হয়। পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান পিপিএম-বার, নিদের্শনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আজমল হোসেন প্রত্যক্ষ তত্ত্ববধানে ও ওসি মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইয়াছিন রাসেল এর নেতৃত্বে হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামী গ্রেপ্তারের জন্য এসআই/ আবুল কালাম চৌধুরী সহ একটি অভিযানিক টিম গঠন পূর্বক বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পরবর্তীতে আসামীদের দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা, লোহার রড, ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ও টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদ্বয়কে ঘটনার বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ শনিবার বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version