টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের নাগরপুরের বেটুয়াজানী উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিরব (১৩) কে মারধর করে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় এলাকায় চলেছে চাপা ক্ষোভ।
বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, আজ সকালে বিদ্যালয়ের প্রথম ক্লাসের সময় বেটুয়াজানি গ্রামের মো. হারুন আর রশিদের নমব শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে মো. নিরব কে শ্রেণি শিক্ষক হরে কৃষ্ণ মন্ডল ও প্রধান শিক্ষক মো. শামসুদ্দিন অজানা করানে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ও মাথায় আঘাত করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দিলে, নিরব বেটুয়াজানি বাজারে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে যায়। স্থানীয়রা তার মাথায় পানি ঢালে এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকদের খবর দিলে তারা এসে নিরবকে সকাল ১১.৩০ মিনিটে নাগরপুর সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ইসরাত জাহান ইমা চিকিৎসা তাকে দিলে, রোগীর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায়, তাকে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেলে রেফার্ড করেন।
শিক্ষকদের মারপিটে অসুস্থ হওয়া নিরবের বিষয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা শিক্ষক মো. বাবুলের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি শুধু বলেন, আমি বিস্তারিত কিছু জানিনা, তবে শিক্ষার্থীদের ও লোকমুখে শুনেছি প্রধান শিক্ষক ও শ্রেণি শিক্ষকের পিটুনিতে এমনটা হয়েছে।
এ বিষয়ে বেটুয়াজানি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শামসুদ্দিন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে না লিখতে বলেন। তিনি বলেন আমাদের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কে বিষয়টি জানানো হয়েছে, ছেলেটির সকল প্রকার চিকিৎসা চলছে।
ঘটনার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন ছেলেটি বেয়াদবি করায় তাকে ক্লাস টিচার হরেকৃষ্ণ মন্ডল নিরবকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়। পরে অভিমানে সে উচ্চ রক্তচাপে ভুগে বাজারে গিয়ে অসুস্থ হয়ে যায়। এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষকদের বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর তাকে একাধিকবার ফোন করেও কার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি সম্ভব হয়নি।