কে এম নুর মোহাম্মদ
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
কক্সবাজার টেকনাফের সাবরাং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬০ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারীকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৫)।
আটককৃত মাদক কারবারীরা হলেন,টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড পানছড়িপাড়ার মৃত কবির আহম্মদের ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ (৩০) এবং একই এলাকার মৃত আলী আহম্মদের মোঃ আলী (২৮)।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান,বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দলের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারীর প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে,টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডস্থ পানছড়ি এলাকার আবুল কালামের বসত বাড়ীতে কতিপয় ব্যক্তি বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট’সহ অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিএসসি কোম্পানীর একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। বর্ণিত অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে দুইজন মাদক কারবারীকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক আটককৃত ব্যক্তিদের দেহ ও সাথে থাকা পলিথিনের ব্যাগ তল্লাশী করে সর্বমোট ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩টি মোবাইল এবং ৪টি সীম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে পৌঁছানোর পূর্বেই একজন মাদক কারবারী পালিয়ে যায় মর্মে ধৃত ব্যক্তিরা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটককৃত মাদক কারবারীরা সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালান চক্র এবং দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা পরস্পর যোগসাজসে বড় বড় ইয়াবার চালান অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহপূর্বক নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে থাকে। পরবর্তীতে মজুদকৃত ইয়াবার চালানগুলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে অত্যন্ত কৌশলে টেকনাফ ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে থাকে বলে জানা যায়। এছাড়া উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন ও সীম কার্ড ব্যবহার করে মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ তারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছে বলে জানা যায়।
তিনি আরো জানান,উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ ধৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।