( নোয়াখালী -প্রতিনিধি-মোহাম্মদ শহিদ)
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ৫নং চাপরাশির হাট ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামের প্রবাসী সাইফুল ইসলামের মেয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে অপহৃত হয়।
অপহরণের একদিন পর থানায় নিঝুমের মাতা আইনুন নাহার বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করিলে ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে (১৩) উদ্ধার করে পুলিশ।
শুক্রবার পহেলা সেপ্টেম্বর রাতে মামলার ১৩ ঘণ্টা পর ফেনীর মহিপাল থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে ২৯ আগস্ট সকালে বিদ্যালয় যাওয়ার পথে অপহরণের এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, অপহৃত স্কুলছাত্রী চাপরাশিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। ২৯ আগস্ট সকালে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে রামেশ্বরপুর গ্রাম থেকে তাকে অপহরণ করে মো. রুবায়েত (২০) ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন। রুবায়েত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের শাহজাহানের ছেলে। স্কুলছাত্রীর মা কবিরহাট থানায় শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে মামলা দায়ের করেন। মামলার ১৩ ঘণ্টা পর ফেনীর মহিপাল থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই প্রভাত কর্মকার বলেন এ সময় অপহরণকারী রুবায়েত পালিয়ে যান।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন মিকন বলেন, মেয়েটির সঙ্গে ছেলেটির দুঃসম্পর্কের আত্মীয়তার পরিচয় ছিল। তারা ১৫ দিন পূর্বে ও একবার পালিয়ে যায়।
আমরা স্থানীয়ভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ ছেলের বাবা এবং মায়ের উপস্থিতিতে মেয়ের মায়ের জিম্মায় মেয়েকে দিয়ে দিই।
তখন ছেলের মাতা এবং পিতাকে বিশেষ সতর্কবাণীও আমি প্রদান করি ভবিষ্যতে যাতে ছেলে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটায় ।
মেয়ের মায়ের অভিযোগ আমার মেয়ে এখনো অপ্রাপ্তবয়স্ক গত দুই বছর যাবৎ এ ছেলে আমার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্ত্যক্ত করতো। আমি বেশ কয়েকবার ছেলের বাবাকে এ বিষয়ে সতর্ক হবার কথা বলি এবং যাতে তারা যেন মেয়েকে ডিস্টার্ব না করে যদি ভবিষ্যতে এ ধরনের কিছু করে আমি থানায় মামলা করবো। তারা আমার কথা শুনেনী ।
ভুল বুঝিয়ে তারা সুকৌশলে আমার মেয়েকে আমার এলাকায় স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাত কর্মকার বলেন স্কুলছাত্রীকে ফেনীর মহিপাল থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে আসামি রুবায়েতকে পাওয়া যায়নি। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অপহৃত স্কুল ছাত্রী নিঝুম (১৩) এর মাথা আইনু নাহার অভিযোগ করে বলেন আমার মেয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক আমার মেয়েকে তারা অপহরণ করে জোর পূর্বক ছেলের পিতা এবং মাতার সহ-যোগিতায় উকিলের মাধ্যমে লটারি করিয়ে বিয়ের নাটক সাজিয়েছে। প্রশাসনের কাছে আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।