শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফলক উন্মোচন মঞ্চে গিয়ে বোতাম চেপে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্য দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ।
এরপরই গাড়ি বহর নিয়ে পাড়ি দেন এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এ সময় ২৫টি গাড়ির জন্য ২ হাজার টাকা টোল পরিশোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। তার ছোট বোন শেখ রেহানাও সঙ্গে ছিলেন। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নেমে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে সুধী সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রকল্পের নথি অনুসারে, সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগে (পিপিপি) তিন ধাপে উড়াল সড়ক প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রথম ধাপ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত। দ্বিতীয় ধাপ বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত। তৃতীয় ধাপ মগবাজার রেলক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত। এই উড়াল সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
উড়াল সড়কের রুট হচ্ছে—কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত। পুরো পথই রেললাইন ঘেঁষে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।