স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোনার সদরের বোবহালা গ্রামে ফৌজদার মিয়া (৪৫) নামে এক কৃষকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পুকুর থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার বোবহালা গ্রামের একটি পুকুর থেকে ফৌজদার মিয়া ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ফৌজদার মিয়া উপজেলার বোবহালা গ্রামের মৃত হাছেন আলী ওরফে দুখু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমিজমা নিয়ে ফৌজদার মিয়ার পরিবারের সঙ্গে গ্রামের অমল দত্ত ও কিশোর দত্তের পরিবারের মধ্যে ঝামেলা চলছে। কিশোর দত্ত জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কিশোরগঞ্জ জেলায় কর্মরত আছেন। এদিকে জমির ঝামেলায় গত ২৪ আগস্ট অমল দত্ত বাদী আদালতে দ্রুত বিচারে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ফৌজদার মিয়া ও জামাল মিয়াসহ চারজনকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসিকে তিন দিনের মধ্যে রেকর্ডভুক্ত করার নির্দেশ দেন। পরে মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সকালে মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়। পরে এদিন দুপুরে পুলিশ বোবাহালা গ্রামে যায় ঘটনা তদন্তে ও আসামি গ্রেপ্তারে। তবে আসামিদের কাউকে বাড়িতে পায়নি পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ফৌজদার মিয়া মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে খাওয়া দাওয়া করে বের হয়। পরে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। বুধবার দুপুরে বাড়ির অদূরে একটি পুকুরে তার লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক বলেন, ফৌজদার মিয়ার লাশটি পুকুরে ভাসছিল। আর তার ব্যবহৃত বাইসাইকেলটি পুকুরের পাড়ে পড়ে ছিল। শরীরে দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন নাই। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
তিনি বলেন, ফৌজদার মিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে জমিজমা নিয়ে বিরোধের মামলাটি আদালতের নির্দেশে রেকর্ড করা হয়েছে । তবে তদন্তে ঘটনার তেমন সত্যতা পাওয়া যায়নি। তদন্তে জানা গেছে- ফৌজদার মিয়াসহ অন্যরা জমিতে হালচাষ করতে গেলেও বাধা দেওয়ার পর তারা চলে এসেছে। কোন ঝগড়া ঝামেলা হয়নি।