আল নোমান শান্ত, দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ডনবস্কো কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষকের বিনা দোষে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে। এরই প্রতিবাদে বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন ডনবস্কো কলেজের ভুক্তভোগী প্রভাষক তরুণ কুমার সাহা।
লিখিত বক্তব্যে প্রভাষক তরুন জানান, গত ০১ জুলাই ২০১৯ তারিখে নিয়োগবিধি মোতাবেক ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন ডন বসকো কলেজে। চাকুরির দুই বছরের মধ্যে নিয়মিত প্রভাষকদের স্থায়ী করণের কথা থাকলেও নানা অজুহাতে তাদের স্থায়ী করেননি কলেজ পরিচালক ফাদার পাওয়েল ও পরিচালনা পর্যদ। পরবর্তিতে চাকুরি স্থায়ী করনের বিষয়ে পুনরায় যোগাযোগ করা হলে, মিত্থা আশ্বাস এবং ফান্ড সমস্যা দেখিয়ে পুনরায় নানা অজুহাতে সময় ক্ষেপন করেন তিনি। এ নিয়ে ফাদার এর সাথে আমরা বারং বার বলেছি, এখনো আমাদের বয়স আছে, যদি আমাদের চাকুরিতে বহাল রাখেন তবে বলে দেন, নয়তো আমরা অন্য কোথাও চাকুরি দেখি। তখন আমাদের মিত্থা আশ্বাস দিয়ে চাকুরিতে বহাল রাখা হয়। এ বিষয়ে তাদের আচরনে আমাদের সন্দেহ হলে আমি অন্যান্য প্রভাষক ও পরিচালনা পর্ষদের সাথে কথা বলার পর গত ২৮ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখে কোন অভিযোগ ব্যতিত, অন্যায় ভাবে ডন বস্কো কলেজ থেকে আমি সহ অন্যান্য কিছু প্রভাষক কে চাকুরিচ্যুত করা হয়।
তিনি বক্তব্যে আরও বলেন, আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় ওনি ব্যাক্তিগত আক্রোশে এমনটি করেছে বলে জেনেছি। এমতাবস্থায় আমি সাম্প্রদায়িক চেতনা এবং বিনা দোষে আমাকে চাকুরীচ্যুত করায় আমি মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। এই চাকুরীর উপর ভিত্তি করে ডন বসকো কলেজের প্রত্যয়নে বাড়ি তৈরী করার জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলাম। আমি চাকুরিচ্যুত হওয়ায় ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে অক্ষম। তারা আজ আমাকে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পৌর কাউন্সিলর এস.এম কামরুল হাসান জনি, চাকুরিচ্যুত প্রভাষক মিন্টু কুমার সরকার, মি. সোহেল, অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি আমিনুল ইসলাম হিমেল, শুভ সরকার, রিয়াদ হায়দার প্রমুখ।