বাংলাদেশে এখন মাতৃমৃত্যু অপেক্ষা সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। শুনতে খানিকটা অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। দেশে প্রতিবছর প্রায় সাত লাখ মানুষকে সাপে কামড়ায়। মৃত্যু হয় ছয় থেকে সাত হাজার মানুষের।
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়, সেই সঙ্গে বাড়ে মৃত্যুর সংখ্যা। বিষধর সাপ কামড়ালে তার চিকিৎসা হচ্ছে রোগীর শরীরে সময়মতো আন্টিভেনম প্রয়োগ করা। কিন্তু সময় মত হাসপাতালে না নিয়ে গেলে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে বেশি।
এমনি ঘটনা ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে মাদারীপুরের মোতালেব হোসেন মাতবরের ছেলে মোহাম্মদ আলী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় রাত্রি যাপন অবস্থায় সাপে কাটলে, পোকাই কামড় দিয়েছে বলে থেকে যায় কিন্তু বিষাক্ত হলে স্থানীয়দের সাহায্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসে।
অন্যদিকে ডাক্তারকে দুষছেন মোহাম্মদ আলীর পরিবার, তারা জানান চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে সাথে আন্টিভেনম প্রয়োগ করে নাই তাই রোগী মারা যাই এই মর্মে রফিকুল ইসলাম নামক একজন ডাক্তারকে দুষছেন যে দায়িত্বে অবহেলা করার কথা ব্যক্ত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা বরাবর শাস্তি দাবী করেন।
এদিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান মানিক জানান, তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন কারণ সাপে কাটলে সব সময় আন্টিভেনম দেয়ার প্রয়োজন হয় না। কারন বেসির ভাগ সাপ এ বিষহীন হয়ে থাকে। বিষধর সাপ কাটলেও উপসর্গ আস্তে অনেক সময় ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় এবং যখন উপসর্গ দেখাদেয় তখন আন্টিভেনম দেয়ার প্রয়োজন হয়। রুগি যখন ভর্তি হয় তখন কোন উপসর্গ ছিল না, সম্পুন সুস্থ ছিল। তাকে ফলোআপে রাখা হয়েছিল। যখন উপসর্গ দেখা দেয়েছিল তখন তাকে প্রতকল মেনেই সাপের আন্টিভেনম দেয়া হয়েছে। তবে অনেক চেষ্টা পরে উন্নতি না হলে, তখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা সায়েরা খান জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।