রুহুল আমিন,ডিমলা (নীলফামারী)
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় সর্বজনীন পেনশন (স্কিম) বাস্তবায়ন সম্পর্কিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৭শে আগস্ট) বেলা ১২টার সময় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ বাস্তবায়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই-আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন (ডোমার-ডিমলা)নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম। এছাড়া অন্যান্য আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান বাবু নীরেন্দ্রনাথ রায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সিদ্দিকা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) সেকেন্দার আলী, ডিমলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রহিম ও বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিগণ।
বর্তমান সরকারের ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) এতদিনে বাস্তব রূপ নিয়েছে। গত ১৭ আগস্ট প্রতীক্ষিত এ কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়াল উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি উন্মুক্ত হলো সবার জন্য। সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) এমনভাবে সাজানো হয়েছে। যাতে দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিকই এ ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারবেন এবং ৬০ বছর বয়স থেকে তারা আজীবন পেনশন পাবেন। শুরুর দিকে চিন্তা না থাকলেও পরে ৫০ বছরের বেশি বয়সীদেরও পেনশন কর্মসূচির আওতায় রাখার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। তাঁরা টানা ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার পরই পেনশন সুবিধা পাবেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সার্বজনীন পেনশন স্কীম সরকারের একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। ৬০ বছর বয়সে যখন মানুষের উপার্জন করার সুযোগ সীমিত হয়ে আসে, সেই সময়ে পেনশনের স্কীম নেয়া থাকলে কারো মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না সে পেনশন সুবিধা ভোগ করবে।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা বিবেচনা করে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। আপাতত চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য চার ধরনের পেনশন কর্মসূচি চালু করা হলো। এগুলোর নাম হচ্ছে প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাসী’ এবং দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’ শীর্ষক কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) গ্রহণ করতে আমরা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে অবহিতকরণ সভা করে এটি ছড়িয়ে দিবো। এ ব্যাপারে ব্যপক প্রচার প্রচারণার জন্য শীঘ্রই সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির রেজিস্ট্রেশন মেলা করে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এ সময় সরকারি বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক, এনজিও প্রতিনিধি ছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীগণ এ সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়ন সভায় উপস্থিত ছিলেন।