কে এম নুর মোহাম্মদ
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক
লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, রবিবার (২৭ আগস্ট) ভোররাতে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধীনস্থ নাজিরপাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৫ হতে আনুমানিক ৮০০ গজ উত্তর-পশ্চিম দিকে আলুগোলা মাঝেরকাঠি এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর থেকে একটি বিশেষ টহলদল এবং নাজিরপাড়া বিওপি থেকে একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল উক্ত এলাকায় গমন করে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে বেড়ীবাঁধ এবং কেওড়া বাগানের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পর পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা বিজিবি টহলদল ৬ জন ব্যক্তিকে ৪টি প্লাস্টিকের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে নাফ নদী পার হয়ে সীমান্তের শূণ্য লাইন থেকে আনুমানিক ১ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আলুগোলা মাঝেরকাঠি এলাকায় আলি আহমেদের মাছের প্রজেক্টের দিকে আসতে দেখে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে উক্ত ব্যক্তিরা দ্রুত দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের কাঁধে থাকা ব্যাগগুলো মাটিতে পড়ে যায় এবং উক্ত ব্যক্তিরা নাফ নদীতে লাফিয়ে মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া ৪টি প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভিতর থেকে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (মালিকবিহীন অবস্থায়) জব্দ করা হয়। চোরাকারবারীদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি আরো জানান, মালিকবিহীন ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ব্যাটালিয়ন সদরের ষ্টোরে জমা রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনী কার্যক্রম শেষে পরবর্তীতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।