চাঁদে গৃহপ্রবেশ হয়ে গেছে। পরের মিশন রবির দেশ। গনগনে সূর্যের দেশে যাবে মহাকাশযান ‘আদিত্য-এল ১’ ।
ইসরোর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন ২ সেপ্টেম্বর সূর্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করতে পারে আদিত্য-এল ১। এই মহাকাশযানে সূর্যের বহির্ভাগের পরিবেশের বিভিন্ন স্তর পর্যবেক্ষণ করা হবে।
ইসরো জানিয়েছে, পৃথিবী থেকে ১৫ লাখ কিলোমিটার দূরে সূর্য ও পৃথিবীর মাঝের এক কক্ষপথ ‘ল্যাগরাঞ্জিয়ান পয়েন্ট’ বা ‘ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট’-এ ল্যান্ড করবে স্যাটেলাইট আদিত্য এল-১।
চাঁদের পরে এখন ইসরোর ‘সোলার মিশন’ নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। কারণ নাসা আর ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ বা ‘এসা’) পর ভারতই প্রথম পাড়ি দিচ্ছে সৌর-মুলুকে। শুক্রের ঘরেও উঁকি দেবে ইসরো। খবর এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টু ডে।
২০২৮ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে নাসার যমজ মিশন হবে শুক্রে। একটি দ্য ভিঞ্চি, শক্র গ্রহের আবহাওয়া, পরিবেশ, মাটি, বাতাসে কার্বনডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব মাপবে। বাতাসে কী গ্যাস আছে, মাটিতে কত খনিজ, তার পরিমাণ করবে।
দ্বিতীয় মিশন, ভেরিটাস, শুক্র গ্রহের অজানা রহস্যের কথা সামনে আনবে। তবে শোনা যাচ্ছে, নাসার আগেই নাকি শুক্র গ্রহে মহাকাশযান পাঠিয়ে দিতে পারে ইসরো। শুক্রে পাড়ি দেওয়ার জন্য ইসরো তৈরি করছে শুক্রযান।
শোনা গিয়েছিল, শুক্রযানের প্রযুক্তি ও তার যন্ত্রপাতির কিছুটা অংশ তৈরি করছে ফরাসি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস এবং কিছুটা সুইডেনের আইআরএফ।
শুক্রযানের জন্য ‘ভেনুসিয়ান নিউট্রাল অ্যানালাইজার (ভিএনএ)’ তৈরি করেছে আইআরএফ। এই যন্ত্রের কাজ হলো সূর্য থেকে ছিটকে আসা সৌরকণার ওপর নজর রাখা। কীভাবে মহাজাগতিক রশ্মি ও সৌরকণারা শুক্রের পরিমণ্ডলে ঢুকে পড়ে সেটা নির্ণয় করবে ভিএনএ।
ইসরো জানিয়েছে, মোট ১০০ কেজি ওজনের যন্ত্রাংশ নিয়ে এই মহাকাশযান শুক্র অভিযান শুরু করবে। শুক্রগ্রহের সঙ্গে এই মহাকাশযানের ন্যূনতম দূরত্ব হবে ৫০০ কিলোমিটার। আর সর্বাধিক দূরত্ব হবে প্রায় ৬০০০০ কিলোমিটার।
শুক্রগ্রহের উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পাক খাবে এই মহাকাশযান। নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।