রুহুল আমিন , ডিমলা(নীলফামারী)
নীলফামারীর তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা তিন সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৪শে আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় পানির প্রবাহ ছিল ৫১ দশমিক ৭৮ সেন্টিমিটার। আজ শুক্রবার (২৫শে আগস্ট) সকাল ৬ টায় তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় পানির প্রবাহ ৫২ দশমিক ১২ সেন্টিমিটার। আবার সকাল ৯ টায় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। এখন দুপুর ৩ টায় ৫২ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। এখানে স্বাভাবিক পানির প্রবাহ ৫২ দশমিক ১৫ মিটার। বর্তমানে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার অতিক্রম করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নুরুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, আগামী কয়েক ঘন্টা পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে, আকাশ যদি ভালো থাকে এবং উজানের পানি হ্রাস পায় স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
তিস্তায় পানি বৃদ্ধির ফলে ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর, কিছামতের চর, পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালীগঞ্জ, খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ছোটখাতা, বাইশ পুকুর, ছাতুনামা, জুয়ার চর, ভেন্ডাবাড়ী, পূর্ব বাইশপুকুর ও জলঢাকা উপজেলার শোলমারী, গোলমুন্ডাসহ প্রায় ১৫টি চর এবং নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। আচমকা পানি বৃদ্ধির কারণে কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে মৌসুমী ফসল ধান ও সবজি ক্ষেত।
কেল্লাপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, পানি বৃদ্ধির কারণে আমাদের উঠানে পানি প্রবেশ করেছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় মানুষজন দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে।
ছোটখাতা গ্রামের শামীম ইসলাম জানান, পানি বৃদ্ধির কারণে কয়েক হাজার হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এর আগের বন্যায় কয়েক শত একর জমির ফলন নষ্ট হয়ে গেছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা জানান, নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলোতে পানি প্রবেশ করছে। যদি উজানের পানি হ্রাস পায় অথবা ভারী বর্ষণ না হয় তাহলে পানি কিছুটা পানি কমতে পারে।