সৌদি আরবের যেকোনো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বন্দরে এখন থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তির ফলে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে বাংলাদেশের মনোনীত বিমান সংস্থা সৌদি আরবের যে কোনো আন্তর্জাতিক পয়েন্টে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে।
বুধবার (২৩ আগস্ট) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। বাংলাদেশ পক্ষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এবং সৌদি আরবের পক্ষে সৌদি জেনারেল অথরিটি অব সিভিল অ্যাভিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আব্দুল আজিজ আল দুয়াইলেজ এতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় দেশের অ্যাভিয়েশন শিল্প বিকশিত হয়ে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হচ্ছে। গত সাড়ে ১৪ বছরে সারাদেশে বিমান পরিবহন অবকাঠামোর যুগোপযোগী উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, যাত্রীসেবা বাড়ানো, কারিগরি ও জন দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অ্যাভিয়েশন খাত এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে অন্যতম অ্যাভিয়েশন হাবে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,
বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের ফলে দুই দেশের অ্যাভিয়েশন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও বাড়বে। এটি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সহযোগিতার সব ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের বন্ধুত্ব অত্যন্ত দৃঢ়। একটি বড় বাংলাদেশি সম্প্রদায় সৌদি আরবে বসবাস করছে, যারা দুই দেশের উন্নয়নেই ভূমিকা রাখছেন। নতুন সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বিমান চলাচলের সংখ্যা বাড়ায় দুই দেশই সুফল পাবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের আন্তরিক আতিথেয়তা এবং চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে বাংলাদেশের পর্যটনের বিকশিত হওয়ার বড় সুযোগ রয়েছে। যেকোনো পর্যটক বাংলাদেশের আতিথেয়তাকে আজীবন মনে রাখবে। সৌদি আরব ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পর্যটনের উন্নয়নে সহায়তা করবে।
২০১২ সালের সম্পাদিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশি বিমান সংস্থা সৌদি আরবের শুধু জেদ্দা, রিয়াদ, দাম্মাম ও মদিনা- এই চারটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করার সুযোগ পাচ্ছে।