কে এম নুর মোহাম্মদ
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন উপজেলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামীকে
গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
গ্রেফতারকৃত আসামি হলেন, রংপুর জেলার কতোয়ালী থানার
কিশামাত খালেয়া এলাকার মোঃ দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলোর ছেলে লিমন মিয়া ওরফে উসমান (২০)
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন’ ও গণমাধ্যম) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ১ মে রংপুর জেলার গংগাচড়া মডেল থানায় জনৈকা মোঃ আবুল ফজল এজাহার দায়ের করেন যে, তার মেয়ে ফারজানা খাতুন (১৪) নিয়মিত স্কুলে যাতায়াতের পথে বিভিন্ন সময়ে মোঃ লিমন মিয়া ওরফে উসমান প্রেমের কু-প্রস্তাবসহ বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আসছিল। পরবর্তীতে গত ২৩ এপ্রিল ভিকটিম ফারজানা খাতুন রংপুরের গংগাচড়া থানাধীন তার খালার বাড়ীতে বেড়াতে যায় এবং ওইদিন সন্ধ্যায় অভিযুক্ত মোঃ লিমন মিয়া ওরফে উসমান অপর ২ জনের সহায়তায় ভিকটিমকে তার খালার বাড়ী থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে আসে। এরপর ভিকটিম সরল বিশ্বাসে বসিভূত হয়ে মাঠেরপাড় শ্মসানঘাটের সামনে ফাঁকা জায়গায় যায় এবং একপর্যায়ে তাকে উক্ত স্থানে কলাবাগানে নিয়ে গিয়ে অভিযুক্ত মোঃ লিমন মিয়া ওরফে উসমান ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ প্রেক্ষিতে রংপুর জেলার গংগাচড়া মডেল থানায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে একটি এজাহার দায়ের করে, যার মামলা নং ২/১৭ তারিখ-২৩/৪/২০২৩, ২০০০ সনের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত ২০২০) এর ৯(১)/৩০ ধারা।
উক্ত ধর্ষণের ঘটনায় মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে মামলার এজাহারভূক্ত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারী বৃদ্ধি করা হয় এবং অভিযুক্ত ধর্ষক ১নং এজাহারভূক্ত আসামী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে কক্সবাজারে আত্মগোপনে অবস্থান করছে মর্মে তথ্য পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিসি-১, টেকনাফ ক্যাম্পের আভিযানিক দল টেকনাফ থানাধীন উপজেলা সদর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার এজহারভুক্ত ১নং আসামী লিমন মিয়া ওরফে উসমান (২০) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। জিজ্ঞাসাবাদে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামী বর্ণিত ধর্ষণ মামলার ১নং এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পূর্বের মামলা মোতাবেক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।