(দ্যা মেইল বিডি.কম) ডেস্কঃ কদিন আগেও শোনা যাচ্ছিল, নভেম্বর-ডিসেম্বরে বিয়ে। এ বছর শীতে ঘর বাঁধবেন দুজনে। প্রথম দিকে লুকোচুরি থাকলেও পরে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খোলামেলা কথা বলেন এ জুটি।
প্যারিসের রাস্তা থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁ কিংবা সুইমিংপুল সব জায়গাতেই একসঙ্গে দেখা যেতো অর্জুন কাপুর আর মালাইকা অরোরাকে। অবশেষে সেই প্রেমে বিচ্ছেদের সুর বাজছে। তারা ইতি টানছেন পাঁচ বছরের সম্পর্কে!
কয়েক মাস ধরেই মালাইকার থেকে দূরে আছেন অর্জুন কাপুর। অর্জুন একা একাই ঘুরছেন, ফিরছেন, রেস্তোরাঁয় যাচ্ছেন। আর ছবি দিচ্ছেন একা একাই। দুজনকে একসঙ্গে কোনো আয়োজনে দেখা যাচ্ছে না, বরং যে পার্টিতে মালাইকা যাচ্ছেন, সেই পার্টি নাকি এড়িয়ে চলছেন অর্জুন। অর্জুন যেখানে যাচ্ছেন, মালাইকাও সেখান থেকে দূরে থাকছেন।
এসব খবর টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, শুধু তা–ই নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের প্রেমকে ছড়িয়ে বেড়াতেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে তার কোনো চিহ্ন নেই।
অর্জুন কাপুর দুটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন। একটিতে দেখা যাচ্ছে সুইমিংপুলে পোজ দিচ্ছেন তিনি। অদূরে রাখা সানগ্লাস। আর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘উষ্ণতার আগে শীতলতার প্রয়োজন।’
অন্য ছবিতে হাসিমুখে ল্যাপটপে চোখ রাখতে দেখা গিয়েছে অর্জুন কাপুরকে। খালি গায়ে খাবার উপভোগ করছেন এই তারকা। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘জীবনটা ছোট, ছুটির দিনগুলো বড় করে নাও।’
এসব দেখে নেটিজনরা বলছেন, একা জীবন বেশ উপভোগ করছেন অর্জুন, তা স্পষ্ট। এদিকে সম্প্রতি এপি ঢিল্লোর পার্টিতে আলাদা দেখা গিয়েছে মালাইকাকেও।
মালাইকার অ্যাপার্টমেন্টের পাশেই গত বছর মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় একটি চার বেডরুম, কিচেন, ড্রয়িংরুমের ফ্ল্যাট কিনেছিলেন অর্জুন কাপুর। ২০ কোটি রুপিতে কেনা সেই ফ্ল্যাটও ১৬ কোটি রুপিতে বিক্রি করে দিলেন অর্জুন। এটা নাকি মালাইকার কারণেই করতে বাধ্য হয়েছেন।
শোনা যাচ্ছে, দুজনের সম্পর্কে তিক্ততা এসেছে। মালাইকা-অর্জুনের বিচ্ছেদ, গুঞ্জন না সত্যি- এটা এখনো নিশ্চিত করে বলেনি কেউ। তারাও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
মালাইকার থেকে অর্জুন ১২ বছরের ছোট। অসম প্রেম নিয়ে অর্জুন আর মালাইকাকে হরহামেশাই নেট দুনিয়ায় নানাভাবে কটাক্ষের শিকার হতে হয়। অনেকেই বলেন, অর্জুনের সঙ্গে সম্পর্কই আরবাজ খানের সঙ্গে মালাইকার ১৯ বছর দাম্পত্যজীবনের পর বিচ্ছেদের কারণ। ২০১৬ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
অবশ্য মালাইকা বলেছেন, তারা বিবাহিত জীবনে সুখী ছিলেন না। এটাই সম্পর্কের ইতি টানার জন্য যথেষ্ট। তবে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত মোটেই সহজ ছিল না। কারণ যা-ই হোক না কেন, সবাই আঙুল তুলবে তার দিকেই।