রুহুল আমিন,ডিমলা(নীলফামারী)
নীলফামারীর ডিমলায় ৭১ এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের আয়োজনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫-আগস্ট) সকালে “ডিমলা বিজয় চত্তরে” বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করে সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রংপুর বিভাগের ৭১ এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সকল সদস্যরা। পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মুনাজাত শেষে ডিমলা উপজেলা ৭১ এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৭১ এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ সংগঠনটির নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ সৌয়দ আলীর সভাপতিত্বে ও রংপুর বিভাগের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম খুশি’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার।
তিনি এসময় বলেন, আপনারা জানেন ১৯৯৬ সালে কতোগুলো মুক্তিযোদ্ধা বেড়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চায় যে সেদেশের মানুষ সবাই মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা সহযোগিতা করেছে, মুক্তিযোদ্ধাকে একগ্লাস পানি খাইয়েছে তারাই হচ্ছে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। এটাই হলো শেখ হাসিনার বক্তব্য, কিন্তু পর্যাক্রমে ক্ষমতায় থাকতে হবে, তাকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না, ঐ কুলাঙ্গাররা যারা সেইদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো এবং যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করতেছে তারা তাদের সেই রাস্তা থেকে সরতেছেনা, এটা সরাবার দায়িত্ব আজকে আমাদেরকে কাঁধে নিতে হবে। আমরা সবাই মিলে আবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে পারলে নিশ্চয়ই আপনাদের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অব্যশই আপানাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ডিমলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবু নীরেন্দ্র নাথ রায়, রংপুর বিভাগের ৭১ এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি মোঃ সফিয়ার রহমান, পঞ্চগড় জেলার সভাপতি শেখ মোঃ হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বাবুল, দিনাজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক দয়া রাম, সৈয়দপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম শেখ, বোদা উপজেলার সভাপতি মোঃ মজিবর রহমান সহ ডিমলা উপজেলার সকল সদস্যগণ।