ইবি প্রতিনিধি-
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) শোক র্যালি, শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ।
বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেছেন, “শেখ মুজিব একটি চেতনার নাম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তাঁর ৫৫ বছরের জীবনে রাজনৈতিক ভাবে ১৮ টি মামলায় প্রায় ১২ বছর কারাবরণ করেছেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ৩ বছর ৭ মাস দায়িত্ব পালনকালে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন পরিকল্পনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের বিস্ময়।”
জাতীয় শোকদিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ. এম আলী হাসান। বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ বাকী বিল্লাহ বিকুলের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়। আলোচনা সভা শেষে জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে কুইজ, উপস্থিত বক্তৃতা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলেদেন অতিথিবৃন্দ।
এর আগে শোক দিবস উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৯ টায় প্রশাসন ভবন চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অর্ধনমিত করেন ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম এবং কালো পতাকা উত্তোলন করেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান। এসময় তাঁদের সাথে ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ.এম. আলী হাসান। পতাকা উত্তোলন শেষে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে প্রশাসন ভবন চত্বর হতে এক শোকর্যালি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে শেষ হয়। এরপর সকাল ১০ টায় মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে বিশ^বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন ভিসি। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন প্রো-ভিসি, ট্রেজারার ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার। ভিসির শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরাল সকলের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় । শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং জাতির পিতার আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এছাড়াও বাদ যোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।