সোমবার (১৫ আগস্ট ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কালিন্দী ইউনিয়নের গদাবাগ এলাকায় হাজী আবুল হাসনাতের মালিকানাধীন স্বাদ গ্লাস অ্যান্ড পলিমার কারখানায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বসত ঘরে রাতে ঘুমিয়ে থাকা জেসমিন আক্তার (৩০) ও তার কন্যা সন্তান ইশা (১৬) এবং মিনা (২২) ও তার শিশুসন্তান তাইয়েবার (২) মৃত্যু হয়। নিহত জেসমিন সৌদিপ্রবাসী মিলন মিয়ার স্ত্রী।

এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। তাদের রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানায়, অগ্নিকাণ্ডের পরপরই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা প্রায় এক ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

এর আগেই স্থানীয়ভাবে লোহার হাতুড়ি দিয়ে দেয়াল ভেঙে বেশ কয়েকজন আহত ও নিহতদের উদ্ধার করা হয়।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী এজিএম (হেডকোয়ার্টার্স) মো. সামসুজ্জামান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে প্রথমে কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এবং এরপর সদরঘাট ও হেডকোয়ার্টার্সের ছয়টি ইউনিট প্রায় ২ঘণ্টার চেষ্টায় ভোর ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তৎক্ষণিক নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মামুনুর রশীদ বলেন, কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই।

খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থ পরিদর্শন করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সল বিন করিম ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান। পরিদর্শন শেষে আনিসুর রহমান ৫ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version